কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের পর আজ মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে তাঁরা বন্দর এলাকায় বেশি সময় অবস্থান করেননি। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকাল থেকে সতর্ক অবস্থানে ছিল।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জড়ো হয়ে বেলা ১১টার দিকে ঘাট ছেড়ে যান আন্দোলনকারীরা। ২০ মিনিটের মতো নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার একযোগে নৌ, রেল ও সড়কপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বন্দর এলাকা ছেড়ে চলে যান।

এদিকে গতকাল রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় ঢাকাগামী আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি হামলার শিকার হয়। লোকোমাস্টার ঘন ঘন হর্ন বাজানোয় আন্দোলনকারীদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ইঞ্জিন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় আজ ভৈরব রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভৈরব স্টেশনমাস্টার মো.

ইউসুফ। পুলিশ ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ভৈরব পৌর এলাকার বাসিন্দা সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। দিন দিন আন্দোলন জোরালো হচ্ছে। মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে।’ ট্রেনে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভৈরবে জেলা আন্দোলন বিষয়ে একটি পক্ষ আমাদের বিরোধিতা করছে। পক্ষটি কৌশলে আন্দোলনে যুক্ত হয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’ আগামীকাল বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ বলেন, আটক তিনজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উচ্চতর গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নকে লক্ষ্য করে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪৩তম সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

আরো পড়ুন:

হিজাব নিয়ে মন্তব্য: রাবি অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি

সুইমিংপুলে মৃত্যু: কুষ্টিয়ায় রাবি শিক্ষার্থী সায়মার অশ্রুসিক্ত বিদায়

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রকল্পটি ২০২৬–২৭ অর্থবছর থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩ বছরে বাস্তবায়িত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি নতুন ছাত্র হল ও তিনটি নতুন ছাত্রী হল নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি শেরে বাংলা ফজলুল হক হল, চিকিৎসা কেন্দ্র, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, জুবেরী হাউসসহ একাধিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক ইনোভেশন হাব নির্মাণ এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত ৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, “আমরা অনেকগুলা হল, অ্যাকাডেমিক ভবন, গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় কাজগুলো এভাবেই হয়। প্রথমে পরিকল্পনা সাজিয়ে পাঠানোর পর সরকার অনুমোদন করলে কাজ শুরু করতে হয়।”

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো ডিপিপির কাছে দিয়েছি একনেকে পাশ করানোর জন্য। একনেকে এটা হুবহু অথবা সংশোধিত আকারে পাশ হতে পারে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ