আওয়ামী লীগদলীয় প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু, তাঁর দুই ছেলেসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

লায়লা আরজুমান্দ বানু ছাড়া যাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে, তাঁরা হলেন ছেলে ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় ও তমাল মনসুর, তানভীরের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী এবং নাসিমের একান্ত সচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়েছে, তানভীর শাকিল ক্ষমতার অপব্যবহার, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে নিজ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পরিচালনা করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ব্যাপারে দুদক অনুসন্ধান করছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ২০২০ সালের ১৩ জুন মারা যান। সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উচ্চতর গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নকে লক্ষ্য করে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪৩তম সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

আরো পড়ুন:

হিজাব নিয়ে মন্তব্য: রাবি অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি

সুইমিংপুলে মৃত্যু: কুষ্টিয়ায় রাবি শিক্ষার্থী সায়মার অশ্রুসিক্ত বিদায়

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রকল্পটি ২০২৬–২৭ অর্থবছর থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩ বছরে বাস্তবায়িত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি নতুন ছাত্র হল ও তিনটি নতুন ছাত্রী হল নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি শেরে বাংলা ফজলুল হক হল, চিকিৎসা কেন্দ্র, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, জুবেরী হাউসসহ একাধিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক ইনোভেশন হাব নির্মাণ এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত ৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, “আমরা অনেকগুলা হল, অ্যাকাডেমিক ভবন, গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় কাজগুলো এভাবেই হয়। প্রথমে পরিকল্পনা সাজিয়ে পাঠানোর পর সরকার অনুমোদন করলে কাজ শুরু করতে হয়।”

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো ডিপিপির কাছে দিয়েছি একনেকে পাশ করানোর জন্য। একনেকে এটা হুবহু অথবা সংশোধিত আকারে পাশ হতে পারে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ