আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ভাষা শিক্ষা ও সামাজিক উদ্ভাবনের ক্ষেত্রকে আরো সমৃদ্ধ করতে নতুন দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাপানের কাজুকো ভুইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং ইরানের আরভ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড এর সঙ্গে পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তার একাডেমিক উৎকর্ষ, গবেষণা এবং সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

আরো পড়ুন:

ঢাবিতে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে বিতর্ক, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ৫ দাবি

স্তন ক্যান্সার নিয়ে ডাকসুর দিনব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগে জাপানি ভাষা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কাজুকো ভুইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং ট্রাস্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রফি ভুইয়া।

এই চুক্তির আওতায় কাজুকো ভুইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিবছর জাপানি ভাষার ‘জেএসপিটি এন৪ আই এন৫’ পর্যায়ের বিশেষ ক্লাস পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাথমিকভাবে অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩২০ টাকা। কার্যক্রম সন্তোষজনকভাবে চললে এটি প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে চালু থাকবে।

অনুদানের অর্থের ৫ শতাংশ জাপানি ভাষা বিভাগে এবং ৬ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হবে। অবশিষ্ট অর্থ এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইরানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আরভ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের মধ্যে সামাজিক ব্যবসা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং আরভ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্য শোকুফেহ মেশকাটি।

সমঝোতা স্মারকের আওতায় উভয় প্রতিষ্ঠান সামাজিক ব্যবসা বিষয়ে যৌথ গবেষণা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, একাডেমিক উপকরণ বিনিময় এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি গ্রহণে একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়া সামাজিক ব্যবসার নীতি ও পদ্ধতি নিয়ে পারস্পরিক শেখা ও উদ্ভাবনী মডেল উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে।

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. লোপামুদ্রা মালেক, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মুনসী শামস উদ্দিন আহমেদ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও জ্ঞান-বিনিময়ের জন্য উন্মুক্ত। ইরান ও জাপানের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই দুটি সমঝোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করবে। আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে একাডেমিক উৎকর্ষ ও টেকসই উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক সহয গ ত সমঝ ত ন নয়ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় পেশাজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আইইউটির শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। মুসলিম উম্মাহর তরুণদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা উৎকর্ষতা ও নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে চলেছে। এ জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত।

আজ রোববার সকালে গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারে অবস্থিত ওআইসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইইউটির ৩৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আইইউটির উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আইইউটির সহ-উপাচার্য হিসেইন আরাবি নুর।

ওআইসির মহাসচিব ও আইইউটির চ্যান্সেলর হিসেইন ব্রাহিম তাহা তাঁর বার্তায় ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ও নীতিগত নেতৃত্বের অগ্রগতিতে আইইউটির অবদানের প্রশংসা করেন এবং সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সাবেক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

উৎসবমুখর পরিবেশে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, অনুষদ সদস্য ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৬টি ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রের ৫২২ জন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অসামান্য শিক্ষাগত উৎকর্ষতার জন্য ইউসুফ ইবনে কামাল নিলয়কে ওআইসি স্বর্ণপদক এবং মো. রহিব-বিন-হোসেন, নাবা উদ্দিন, মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, রামিশা সালসাবিল,মোস্তফা নোসিন নাহার স্মিতা, সামিয়া নওশীন ও সাজিদুর রহমান চৌধুরীকে আইইউটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য তাঁদের এই পদক প্রদান করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্নাতকদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষ সাধনে আইইউটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটকাম-বেইজড এডুকেশন (ওবিই) পদ্ধতির সফল বাস্তবায়ন ও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৬-এ অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম: শিক্ষা উপদেষ্টা