রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উচ্চতর গবেষণা ও উন্নয়ন’শীর্ষক প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। এ প্রকল্পে ছাত্র-ছাত্রীদের তিনটি করে মোট ছয়টি নতুন আবাসিক হল নির্মাণ, একটি হলসহ বেশ কিছু ভবন পুনর্নির্মাণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৫৪৩তম সভায় এই প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উন্নয়ন প্রকল্প বিবরণীতে বলা হয়, প্রস্তাবিত প্রকল্পে আছে ছাত্রদের জন্য তিনটি ও ছাত্রীদের জন্য তিনটি নতুন হল নির্মাণ, শেরে বাংলা ফজলুল হক হল পুনর্নির্মাণ, চিকিৎসা কেন্দ্র, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ও জুবেরী হাউসসহ কয়েকটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন পুনর্নির্মাণ, ইনোভেশন হাব নির্মাণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার ইত্যাদি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চূড়ান্ত অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এই উন্নয়ন প্রকল্প ২০২৬-২০২৭ অর্থবছর থেকে পরবর্তী তিন বছরের মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাত হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবের অন্তর্ভুক্ত হল, হোস্টেল ও ডরমিটরি নির্মাণ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত সাত হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা এবং উচ্চতর গবেষণাগারের জন্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ হলে গবেষণার ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে বসেছে গ্রামের পৌষ উৎসব

যানজট পেরিয়ে গুলশান লেক পার্কে পা রাখতেই বদলে গেল চিত্র। হেমন্তের হিম হাওয়ায় ভাসছে দুধ–চিতইয়ের ঘ্রাণ। সামনে সাজানো শীতলপাটি, কাঠের পুতুল, পটচিত্র ও তাঁতের রঙিন বুনন। যেন এই নরম রোদের সকালে গুলশানে বসেছে গ্রামবাংলার পৌষ মেলা।

এমন আমেজ নিয়েই আজ শনিবার গুলশান লেক পার্কে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পৌষ উৎসব। সম্মিলিতভাবে উৎসবের আয়োজন করেছে গুলশান সোসাইটি ও ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি)। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এই আয়োজন চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। ‎মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সৌজন্যে আয়োজিত পৌষ উৎসবের সহযোগিতায় আছে রাঁধুনী, বার্জার ও বাটা।

পৌষ উৎসবের স্টলগুলোয় ছিল দেশের নানা প্রান্তের লোকজ ঐতিহ্য ও কারুশিল্পের সমাহার। সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে নিজের হাতে বোনা শীতলপাটি নিয়ে এসেছেন হরেন্দ্র কুমার দাস। রাজশাহী থেকে শখের হাঁড়ি নিয়ে হাজির হয়েছেন সঞ্জয় কুমার পাল। পটুয়া নাজির হোসেন এনেছেন নিজের আঁকা পটচিত্র।

পৌষ উৎসবের স্টলগুলোয় ছিল দেশের নানা প্রান্তের লোকজ ঐতিহ্য ও কারুশিল্পের সমাহার। আজ সকালে গুলশান লেক পার্কে

সম্পর্কিত নিবন্ধ