তিন পাহাড়ি যুবক হত্যার বিচারের দাবিতে রাঙামাটিতে পিসিসিপির বিক্ষোভ
Published: 29th, October 2025 GMT
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে নিহত তিনজন সাধারণ পাহাড়ি যুবক নিহতের অভিযোগ তুলে দোষীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাঙামাটি শহরের বনরূপা আলিফ মার্কেটের সামনে পিসিসিপির রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
পিসিসিপির রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় লিগ্যাল এইড কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার, রাঙামাটি জেলার সহ-সভাপতি কাজী জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নূর হোসেন, পিসিসিপির রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক মো.
তারা বলেন, গত ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খাগড়াছড়ি এবং গুইমারা এলাকার বিভিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের অস্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির বিষয়টি ছিল বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।
গুইমারার রামসু বাজারে আখ্র মারমা, আথুইপ্রু মারমা ও থৈইচিং মারমা হত্যায় ইউপিডিএফ জড়িত দাবি করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পিসিসিপির নেতারা। তা না হলে পিসিসিপি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তারা।
ঢাকা/শংকর/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজকে বাঁচাতে এখনই গভর্নিং বডি নির্বাচন দিতে হবে
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নির্মূল হলেও মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে এখনো তাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছে। এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে হলে এখনই গভর্নিং বডি নির্বাচন দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচিত কমিটি গঠনের লক্ষ্যে তিন দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের মূল বালক শাখায় অভিভাবকদের ব্যানারে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধন শেষে অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে গভর্নিং বডি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানায়।
অভিভাবকদের দাবি, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্কুলটি সিলেক্টেড বা পকেট কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আট বছর ধরে অ্যাডহক কমিটি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নির্মূল হলেও মনিপুর স্কুলে এখনো তাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অ্যাডহক কমিটি কর্তৃক বিদ্যালয় পরিচালিত হওয়ায় শিক্ষার মান, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও বিপর্যয় ঘটেছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, অদক্ষ ও অযোগ্য প্রশাসনের কারণে একাডেমিক কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে।
অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বহিষ্কৃত কিছু শিক্ষককে অর্থের বিনিময়ে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি শিক্ষক ও কর্মচারীদের ক্যাম্পাস ও শিফট পরিবর্তনেও অর্থ লেনদেন হচ্ছে। একইভাবে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও টাকার বিনিময়ে শিফট পরিবর্তনের ঘটনা ঘটছে।
অভিভাবকেরা বলেন, এসব অনিয়মে ক্যাম্পাস ও শিফটের শিক্ষার্থীদের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উভয়ই। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৈধ গভর্নিং বডি কমিটি এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক সাইফুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন, আবদুল মুতাকাব্বির, আবদুল্লাহ আল আমান, শাহবুদ্দিনসহ অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।