মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় বাদীর ৫ বছর কারাদণ্ড
Published: 29th, October 2025 GMT
বরগুনায় মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার দায়ে মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এই রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের জামিন
ঝালকাঠিতে ১০ বছর পর মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ৪৭ আসামি
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বরগুনার বেতাগী পৌরসভার খাদ্যগুদাম সড়কের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে কাওসার হোসেন (৩৯)। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর কাওসার তার চাচা মোস্তফা হানিফের (৬৫) বিরুদ্ধে বেতাগী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কাওসারের বোনের ১০ বছরের শিশুকে চাচা মোস্তফা হানিফ ধর্ষণ করেছেন। ওই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিন মাস ১৭ দিন কারাভোগ করেন তিনি। তবে, তদন্তে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এরপর একই বছরের ৩ অক্টোবর মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে মোস্তফা হানিফ বাদী হয়ে কাওসারের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
মোস্তফা হানিফ বলেন, ‘‘আমি তিন মেয়ে নিয়ে ঝালকাঠির রাজাপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকি। বেতাগীতে নিজের বাড়িতে ঘর তুলতে গেলে ভাতিজা কাওসার তার বোনের মেয়েকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হই, এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা করি।’’
রায়ে আদালত মন্তব্য করেন, কাওসার তার বোনের অল্পবয়সী মেয়েকে ব্যবহার করে চাচার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও জঘন্য মামলা করেছেন। এতে ভুক্তভোগীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শত্রুতার কারণে ভবিষ্যতে যেন কেউ এ ধরনের মিথ্যা মামলা না করে, এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে সেই বার্তা পৌঁছে যাবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রনজুয়ারা সিপু বলেন, ‘‘মোস্তফা হানিফ সৌদি আরবে একটি জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন। মিথ্যা মামলার কারণে তার চাকরিও হারাতে হয়। আদালত ন্যায়সঙ্গত রায় দিয়েছেন।’’
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘আমার মক্কেল কাওসার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।”
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সালমান শাহ হত্যা মামলা: আগাম জামিন চাইবেন সামিরা
ঢাকাই চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। লাশ উদ্ধারের পর ধারণা করা হয়, আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে।
সালমান শাহর মৃত্যুর দীর্ঘ ২৯ বছর পর নতুন করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর রমনা থানায় দায়ের হওয়া এই মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হক, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি এবং খলনায়ক ডনসহ আরো কয়েকজন।
আরো পড়ুন:
সামিরা-ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছে তা আমি জানি না: শাবনূর
এদিকে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইবেন নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি সামিরা হক। এদিন তার বর্তমান স্বামী হাইকোর্টে আসেন জামিন শুনানির জন্য আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে। সকাল ৯টায় সামিরার বর্তমান স্বামী ইশতিয়াক আহমেদকে আপিল বিভাগে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এর আগে, সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী এবং খলনায়ক আশরাফুল হক ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানিতে সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
গত ২০ অক্টোবর মধ্যরাতে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৩ অক্টোবর আদালতে শুনানির সময়ে প্রথম উপস্থিত ছিলেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক। এর এক সপ্তাহ পরই আদালতের নির্দেশে রাজধানীর রমনা থানায় হত্যা মামলাটি করা হয়। এর পরেই তিনি গা ঢাকা দেন বলে জানা যায়। তবে আজ তার বর্তমান স্বামী আদালতে উপস্থিত হয়েছেন তার জামিন বিষয়ে কথা বলতে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত