বরগুনায় মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার দায়ে মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এই রায় ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের জামিন

ঝালকাঠিতে ১০ বছর পর মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ৪৭ আসামি 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বরগুনার বেতাগী পৌরসভার খাদ্যগুদাম সড়কের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে কাওসার হোসেন (৩৯)। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর কাওসার তার চাচা মোস্তফা হানিফের (৬৫) বিরুদ্ধে বেতাগী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, কাওসারের বোনের ১০ বছরের শিশুকে চাচা মোস্তফা হানিফ ধর্ষণ করেছেন। ওই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিন মাস ১৭ দিন কারাভোগ করেন তিনি। তবে, তদন্তে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এরপর একই বছরের ৩ অক্টোবর মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে মোস্তফা হানিফ বাদী হয়ে কাওসারের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

মোস্তফা হানিফ বলেন, ‘‘আমি তিন মেয়ে নিয়ে ঝালকাঠির রাজাপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকি। বেতাগীতে নিজের বাড়িতে ঘর তুলতে গেলে ভাতিজা কাওসার তার বোনের মেয়েকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হই, এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা করি।’’

রায়ে আদালত মন্তব্য করেন, কাওসার তার বোনের অল্পবয়সী মেয়েকে ব্যবহার করে চাচার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও জঘন্য মামলা করেছেন। এতে ভুক্তভোগীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শত্রুতার কারণে ভবিষ্যতে যেন কেউ এ ধরনের মিথ্যা মামলা না করে, এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে সেই বার্তা পৌঁছে যাবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রনজুয়ারা সিপু বলেন, ‘‘মোস্তফা হানিফ সৌদি আরবে একটি জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন। মিথ্যা মামলার কারণে তার চাকরিও হারাতে হয়। আদালত ন্যায়সঙ্গত রায় দিয়েছেন।’’

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘আমার মক্কেল কাওসার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।”

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মাস্ক পরা যুবক, এরপর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন

লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কার্যালয়ের নিচতলার একটি কক্ষে থাকা বেশ কিছু মালামাল ও নথিপত্র পুড়ে গেছে। আজ শনিবার ভোর চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পেট্রল ঢেলে কক্ষটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ভোরে মাস্ক পরা এক যুবক কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকছেন। কিছুক্ষণ পর কার্যালয়ের একটি কক্ষে আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যায়। এর পরপরই মাস্ক পরা ওই যুবক আগের মতো দেয়াল টপকে কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসাইন বলেন, ‘মাস্ক পরা এক যুবক পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। তখন কার্যালয়ের ভেতরে আমাদের নিরাপত্তা প্রহরী  ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই নিরাপত্তা প্রহরী আগুনের বিষয়ে টের পেয়ে কে কে বলতেই মাস্ক পরা যুবক পালিয়ে গেছেন।’

মো. ফারুক হোসাইন আরও বলেন, স্টোররুমে দেওয়া আগুনে ২০০৮ ও ২০০৯ সালের ভোটারদের দ্বিতীয় ফরম পুড়ে গেছে। এ ছাড়া একটি অকেজো ডেস্কটপ, সিপিইউসহ কিছু সরঞ্জামও পুড়েছে। আগুন নেভাতে বেশি সময় লাগেনি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ বলেন, আগুনে অফিসের কিছু নথিপত্র পুড়ে গেছে। তবে বিষয়টি দ্রুত টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। দ্রুত আগুন নেভানো গেছে।

লক্ষ্মীপুরের জেলা নির্বাচন কার্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো
  • টিএফআই সেলে গুমের মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশ ২১ ডিসেম্বর
  • বিশৃঙ্খলতায় পণ্ড মেসিকে ঘিরে কলকাতার আয়োজন
  • দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মাস্ক পরা যুবক, এরপর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন
  • ইরানে নোবেলজয়ী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি গ্রেপ্তার
  • বিপিএলে ফিক্সিং: অভিযুক্তদের বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে
  • আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
  • বিয়ে-তালাকের তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক: হাইকোর্ট
  • মানিকগঞ্জ শহরে ককটেল বিস্ফোরণ
  • রিট খারিজ, জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান বহাল