বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিদ্যমান সংকটের সমাধান এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকার, জনগণ ও গণমাধ্যমের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমাধান দরকার বলে মনে করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম কর্মসূচির সমন্বয়ক ও সহযোগী অধ্যাপক এস এম রেজওয়ান উল আলম। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সংস্কারের সুযোগ এখনো আছে।

আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অধ্যাপক রেজওয়ান উল আলম এ কথা বলেন। প্রথম আলো এ বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।

রেজওয়ান উল আলম বলেন, সরকার, জনগণ, মাঝখানে যদি গণমাধ্যম হয়ে থাকে, এই তিনটি পক্ষের নেতিবাচক কাজগুলো কমিয়ে ইতিবাচক দিকগুলো এক জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।

গণমাধ্যম সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে রেজওয়ান উল আলম বলেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো আসলে যোগাযোগে খুব দুর্বল। বর্তমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপতথ্যসহ নানা সংকট দূর করতে সবার আলোচনা করা, সমাধানের পথ খোঁজার ওপর জোর দেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষক।

সংস্কারের সুযোগ এখনো আছে জানিয়ে রেজওয়ান উল আলম বলেন, ‘সময় আছে। সুযোগ আছে। ৫৪ বছর এমন কোনো সময় না, অনেক দেশের ২০০ বছর লেগেছে.

..কিছু করতে।’ সে জন্য সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে বলেও জানান তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সদস্য এ কে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সভাপতি ও মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রাজা।

এ ছাড়া নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল), জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান মতিউর রহমান আকন্দ, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন, এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সদস্য কামরুন্নেসা হাসান এ বৈঠকে বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুনঅনেকের কথা শুনেই বোঝা যায়, আসলে কী বলা হয়েছে, এটা পড়েনি৩ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ 

হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকা মূল্যের চারটি ট্রাক, চারটি রোড রোলার ও একটি ট্রাক্টর বহুদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে। অচল থাকায় যানবাহনগুলো আগাছার নিচে চাপা পড়েছে। এমনকি গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশও নেই জায়গামতো।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার কিবরিয়া মিলনায়তন প্রাঙ্গণে তিনটি ট্রাক, দুইটি রোড রোলার ও একটি ট্রাক্টর অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যানবাহনগুলোর গায়ে জং ধরেছে। যন্ত্রাংশ ও বডির পাতের অনেক অংশ কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। টায়ার মাটির নিচে ঢুকে গাড়িগুলো এখন রিংয়ের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

গাছ থেকে সাইনবোর্ড ও পেরেক তোলার অভিযান হিলি পৌরসভার

চাটমোহর পৌরসভা সড়ক খানাখন্দ ভরা, সীমাহীন দুর্ভোগ

পুরাতন পৌরসভা এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্থানে একটি ট্রাক লতাপাতার নিচে ঢাকা পড়ে আছে। শুধু চালকের আসন ও স্টিয়ারিং ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। ওই স্থানে থাকা দুইটি বড় রোড রোলারে গাছ গজিয়ে উঠেছে, চাকা খুলে পাশের পরিত্যক্ত জলাশয়ে পড়ে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার একজন শ্রমিক জানান, তিনি কয়েকদিন ধরেই যানবাহন ও যন্ত্রপাতি পাহারা দিচ্ছেন। বেশিরভাগ যানবাহন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয়নি দেখলেই তা বুঝা যায়।

পুরাতন পৌরসভা এলাকায় জহুর আলী রেস্তোরাঁর মালিক আবিদুর রহমান রাকিব বলেন, “রোড রোলার ও ট্রাকগুলো বহু বছর ধরে এখানে পড়ে রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করছে না এবং ভাড়াও দিচ্ছে না। জনগণের সম্পদ নষ্ট হওয়া উচিত নয়। এগুলো মেরামত করে উপযুক্ত কাজে লাগানোর দাবি করছি।”

হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. শামছুল হুদা বলেন, “পৌরসভার জনবল ও উপকরণের সীমাবদ্ধতার কারণে শহরের রাস্তার খানাখন্দ ঠিক করা যাচ্ছে না এবং বিভিন্ন স্থানে ময়লার ভাগাড় জমে আছে। অথচ কোটি টাকার যানবাহন বছরের পর বছর অকেজো পড়ে রয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। আমরা এসব যানবাহন ব্যবহার করে পৌরভার জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।”

হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী আব্দুল কদ্দুস শামীম বলেন, “কয়েকটি গাড়ি ও নির্মাণযন্ত্র অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। শিগগির এগুলো মেরামত করে কাজে লাগানো হবে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভিন্ন কোনো দেশের কারণে ঢাকা–বেইজিং সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: চীনের রাষ্ট্রদূত
  • যত দিন যাচ্ছে আমরা ততই বিভক্ত হয়ে পড়ছি: মির্জা ফখরুল 
  • আইন উপদেষ্টার ওপর জনগণের আস্থা নেই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • বিএনপি–জামায়াত বোঝাপড়ার ভিত্তিতে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, দাবি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
  • তাইওয়ানের রোল মডে ইসরায়েল: প্রেসিডেন্ট লাই চিং
  • ধর্মকে বিকৃত করে নির্বাচন বানচাল জনগণ মানবে না: ফারুক
  • উন্নয়নের বয়ান ও মেগা প্রকল্পের রাজনীতি
  • ‘শেখ হাসিনার কাঠামোয় নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না’
  • কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ