চকরিয়ায় রেললাইন থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
Published: 24th, November 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় রেললাইন থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার হারবাং নতুন বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির পরিচয় পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
হারবাং রেলওয়ে স্টেশনের ইনচার্জ রশিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রেললাইনে লাশ পড়ে থাকার বিষয়ে সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজন পোস্ট করেন। এরপর বিষয়টি রেল পুলিশকে জানানো হয়। রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন রশিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল রোববার রাতে সর্বশেষ ট্রেন গেছে সৈকত এক্সপ্রেস। চট্টগ্রামমুখী ট্রেনটি রাত সাড়ে নয়টায় হারবাং অতিক্রম করেছে। সেই ট্রেনটিতে হয়তো ওই ব্যক্তি কাটা পড়েছেন।
কক্সবাজার রেলওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজালাল প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর মাথা, হাত ও বুকের পাঁজরে গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাঁর পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরিচয় জানা সম্ভব না হলে ময়নাতদন্তের পর লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের সব সংস্কার আইনের মাধ্যমেই হয়েছে: আইন উপদেষ্টা
দেশের সব পরিবর্তন বা সংস্কার আইনের মাধ্যমেই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর আদালতের জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ই-পারিবারিক আদালত’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা বলেন, পারিবারিক বিরোধের ক্ষেত্রে এখন আর আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনা মূল্যে সেবা নেওয়া যায়। এই প্রক্রিয়ায় একজনের পরিবর্তে তিনজন বিচারককে যুক্ত করা হয়েছে।
সংস্কার ভাবনা আরও বাস্তবতার আলোকে হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বেশি করতে পারিনি। তবে আশা করি, নতুন সরকারও এসব উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। না হলে উদ্যোগগুলো ম্লান হয়ে যাবে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো দুর্বল করা যাবে না। যেকোনো প্রক্রিয়াই বাস্তবায়ন করতে গেলে তা ক্রমান্বয়ে এগিয়ে নিতে হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংস্কারের ধারাবাহিকতার বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এ পর্যন্ত ২১টি জায়গায় সংস্কার করা হয়েছে। তবে আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত না হলে, ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে সেগুলো টিকবে না।
ই-পারিবারিক আদালত প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নতুন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পেপারলেস সিস্টেম আরও এগিয়ে যাবে। এটি আমার জন্য আনন্দের বিষয়।’
প্রক্রিয়াটি গ্রহণ করায় আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই ডিজিটাল কার্যক্রম আইন পেশাজীবীদের আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা দিতে সহায়তা করবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ই-পারিবারিক আদালত বিচারব্যবস্থাকে পেপারলেস সিস্টেমের দিকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।