যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ
Published: 25th, November 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) সুপার আবুল বাশার, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে।
শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন আম বটতলা বাজারে মুঠোফোন মেরামত করতে এক দোকানে যান। এ সময় ওই দোকানদারের সঙ্গে ওই নারী শিক্ষার্থীর কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই নারী শিক্ষার্থীকে অশ্লীল কথা বলেন। এরপর ওই শিক্ষার্থীর বন্ধুরা সমবেত হয়ে ওই দোকানে গিয়ে দোকানদারকে মারপিট করেন। এরপর গ্রামবাসী একত্র হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়।
সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার-পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর স থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
রূপকথার গল্প লেখা হলো না রিপন–গাফফারদের, সুপার ওভারে জিতে চ্যাম্পিয়ন শাহিনস
পারলেন না রিপন মণ্ডল। পারলেন না আবদুল গাফফার। পারলেন না দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়ে রূপকথার গল্প লিখতে। কাতারের দোহায় ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য কিছুই করেছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান। আর তাতেই খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের ফাইনালটাকে সুপার ওভারে নিয়ে যেতে পেরেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে শেষ হাসিটা হাসল পাকিস্তান শাহিনসই। সুপার ওভারে রিপনদের হারিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো উদীয়মানদের এশিয়া কাপ জিতল শাহিনস নামেই পরিচিত পাকিস্তান ‘এ’ দল।
১২৬ রানের লক্ষ্য। ৫৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ ‘এ’। এরপর এসএম মেহেরব ও রাকিবুল হাসান আশার পালে হাওয়া লাগালেও দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি। এ দুজনও যখন ফিরলেন ৯৬ রানে ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের।
এরপর গাফফারকে নিয়ে অবিশ্বাস্য কিছুই করলেন রিপন । পাকিস্তান শাহিনসের ইনিংসে বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া রিপন ব্যাট হাতেও খেললেন ১১ রানের ইনিংস। আরেক পেসার আবদুল গাফফারও (১৬*) সাহায্যের হাত বাড়ালেন। ১৯তম ওভারে ২০ রান তুললেও অবশ্য শেষ ওভারে ৭ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি তাঁরা। তবে শেষ বলে ১ রান নিয়ে ম্যাচটা টাই করে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালটাকে।
ব্যাটে–বলে দারুণ করেছেন রিপন মণ্ডল