ডায়াবেটিসকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ যে অবদান রেখেছে
Published: 25th, November 2025 GMT
ডায়াবেটিস পৃথিবীতে এক মহামারি। একে মহামারি হিসেবে প্রথম চিহ্নিত করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশন। পরে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং ২০০৬ সালে ইউনাইটেড নেশনস ডায়াবেটিসকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করে। ইউনাইটেড নেশনসের ডায়াবেটিসকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করার পেছনে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধেই বাংলাদেশ সরকার এ কথা ইউনাইটেড নেশনসের কাছে তুলেছিল। পরে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। ২০০৭ সাল থেকে ১৪ নভেম্বর ‘ইউএন ডে ফর ডায়াবেটিস’ হিসেবে দিনটি পালিত হচ্ছে।
ডায়াবেটিসের মহামারিটা হচ্ছে মূলত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য, যেটা শুরুতে ইনসুলিননির্ভর নয়। এটি বহুলাংশেই প্রতিরোধ করা যায়। প্রশ্ন হলো, এটা রোগপ্রতিরোধযোগ্য হলেও বাড়ছে কেন। ডায়াবেটিস বর্তমানে উন্নত বিশ্বের চেয়ে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেই বেশি বাড়ছে। ডায়াবেটিস হওয়ার মূল কারণ জিনগত ও পারিপার্শ্বিক প্রভাব। জিনগত প্রভাব পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে জীবনধারা পরিবর্তন করলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু অসুবিধা হলো জীবনধারা পরিবর্তন করার সুবিধাগুলো আমাদের কাছে খুব কম। যেমন মানুষকে আমরা বলছি হাঁটাচলা করতে, ফাস্ট ফুড পরিহার করতে। কিন্তু আমাদের হাঁটাচলার জায়গা নেই আর ফাস্ট ফুডের দোকান তো শিশুদের স্কুলের পাশেই বেশি।
ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ হ ন ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে
গত অক্টোবরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা নাশকতা ছিল না। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি আজ মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তুলে দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি।