2025-06-20@21:49:34 GMT
إجمالي نتائج البحث: 8

«সড়ক হইত»:

    পহেলা জুলাই হইতে সড়ক-মহাসড়কে পুরাতন বাস-মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ করিবার যেই প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জারি করিয়াছে, উহার প্রতি আমরা সতর্ক সাধুবাদ জানাই। দুর্ঘটনা ও পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ  পুরাতন গাড়ি। রাজধানীসহ বড় শহরগুলির সাংবৎসরিক সমস্যা যানজটের পশ্চাতেও রহিয়াছে এহেন জরাজীর্ণ যানবাহন। ফলে উক্ত সিদ্ধান্তকে স্বাগত না জানাইবার কোনো কারণ নাই। তবে পূর্বেও বহুবার এই প্রকার আদেশ জারি করা হইয়াছে। বিশেষত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এই বিষয়ে আদালত আদেশ প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে এবং ইহার পর কয়েক দফায় রাজধানীতে ২০ বৎসরাধিক পুরাতন বাস এবং ২৫ বৎসরাধিক পুরাতন পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হইয়াছিল, যাহা পালিত হয় নাই। ২০২৩ সালের মে মাসে বিআরটিএ সড়ক-মহাসড়ক হইতে পুরাতন যান প্রত্যাহারের আদেশ জারি করিলেও শেষ পর্যন্ত প্রজ্ঞাপনটিই...
    ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তিন মাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বারের মতো নৈশবাসে দস্যুতা ও শ্লীলতাহানির অঘটন অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ব্যস্ত মহাসড়কে যাত্রীবেশে বাসে আরোহণ করিয়া পাঁচ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাইয়া দস্যুদলের নির্বিঘ্নে অকুস্থল ত্যাগ করিবার ঘটনাও বিক্ষোভ জাগানিয়া। মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রিতে দীর্ঘ সময় ধরিয়া লুটপাট ও শ্লীলতাহানিকালে মহাসড়কে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ‘হাইওয়ে পুলিশ’ কোথায় অবস্থান করিতেছিল? সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা যাইতেছে, দস্যুরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ লইয়া ঐ মহাসড়কেই যমুনা সেতুর নিকটবর্তী এলাকায় কয়েক দফা যাতায়াত করিয়াছে। আমাদের প্রশ্ন, একই বাসের উদ্ভ্রান্ত চলাফেরাও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক করিল না? মহাসড়কটিতে যেইভাবে ‘বাম্পার টু বাম্পার’ যানবাহন চলাচল করে, উহাতেও দস্যুকবলিত বাসটির উদ্দেশ্যবিহীন চলাচল ভিন্নভাবে চিহ্নিত হইল না! ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নিরাপত্তা-বিষয়ক নাজুকতা কেবল আলোচ্য অঘটনেই প্রমাণ হইল না; তিন মাসের মাথায় যদ্রূপ দস্যুতার পুনরাবৃত্তি ঘটিল, তদ্রূপ প্রায় নিয়মিত বিরতিতেও এইরূপ অঘটন...
    রাজধানীতে বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করিয়া রাখিবার কারণে সাধারণ নাগরিকের ভোগান্তি ছিল চরমে। দুর্ভোগে পড়িয়াছিলেন রোগীসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সড়কে চলাচলকারী মানুষ। বুধবার সকাল হইতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকা হইতে ‘লংমার্চ’ করিয়া প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হইবার পরই সড়কে যেই অচলাবস্থার সূচনা হইয়াছিল, অন্যদের আন্দোলনের কারণে সমস্ত দিবস ধরিয়াই উহা বলবৎ ছিল। বিশেষত পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সম্মুখে মানববন্ধন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যর মৃত্যুতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ; নার্সিং শিক্ষার্থীদের শাহবাগে সড়ক অবরোধ এবং আগারগাঁওয়ে বিলুপ্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মীদের আন্দোলনের কারণে রাজধানী কার্যত স্থবির হইয়া পড়ে। অধিকন্তু বুধবার মধ্যাহ্নে হঠাৎ বজ্রসহ প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। নগরবাসীকে পড়িতে হয় সীমাহীন যন্ত্রণায়। নারী-শিশুদের ভোগান্তিও ছিল চরমে। ইহার মধ্যে...
    সাম্প্রতিক ঈদুল ফিতরের ছুটির সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনার যেই চিত্র রবিবার সমকাল তুলিয়া ধরিয়াছে, উহা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। রাজধানীর দুইটি এবং ঢাকার বাহিরের আট বিভাগীয় শহরের বিশেষায়িত আটটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করিয়া সমকাল জানাইয়াছে, ঈদের ছুটির এই  চার দিবসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩২ শতাংশের অধিক ছিলেন ব্যাটারিচালিত রিকশার যাত্রী, যাহা একই সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের প্রায় সমান। বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সংগৃহীত তথ্য বলিতেছে, গত ঈদুল আজহায় সড়কে সর্বাধিক দুর্ঘটনার কারণ ছিল মোটরসাইকেল; ৫১ শতাংশের অধিক। এইবারের ঈদুল ফিতরে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে মোটরসাইকেলের স্থান আশঙ্কাজনকভাবে দখল করিয়াছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্লেখ্য, প্রতিবেদন অনুযায়ী, উক্ত সময়ে হাসপাতালে আগত ২৫.৫ শতাংশ আহত রোগীর দুর্ঘটনার কারণ নিবন্ধন বহিতে উল্লেখ করা হয় নাই। অর্থাৎ উক্ত...
    প্রতি বৎসর ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর যেই ‘রেকর্ড’ সৃষ্টি হয়, উহা উদ্বেগজনক। ঈদুল ফিতরের ছুটির কয়েক দিনে অন্তত অর্ধশত প্রাণহানির খবর সংবাদমাধ্যমে আসিয়াছে। সর্বাপেক্ষা ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটিয়াছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে; লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় পরপর তিন দিন দুর্ঘটনায় ১৫ প্রাণ ঝরিয়া গিয়াছে। স্থানটি ছয় কারণে মৃত্যুকূপ হইয়া উঠিয়াছে বলিয়া সমকালের প্রতিবেদনে উঠিয়া আসিয়াছে। আমরা বিস্মিত, উক্ত এলাকায় বারংবার দুর্ঘটনা ঘটার পরও সতর্কতা কিংবা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই!  দেশে স্বাভাবিক সময়েই সড়কে অনেক প্রাণ ঝরিয়া থাকে। ঈদের সময় যাতায়াত বৃদ্ধির কারণে দুর্ঘটনাও সমগতিতে বৃদ্ধি পায়। তবে প্রতি বৎসর রাজধানী কিংবা অন্যান্য শহর হইতে ঈদযাত্রায় যেই ভোগান্তি আমরা দেখিয়া আসিয়াছি, সেইদিক হইতে এইবার ঈদযাত্রা ছিল বহুলাংশে স্বস্তিদায়ক। তজ্জন্য সড়ক দুর্ঘটনাও নিয়ন্ত্রণে আসিবে বলিয়া আমাদের প্রত্যাশা থাকিলেও পূর্বের ন্যায় দুর্ঘটনা ও...
    ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিরাজমান অপরাধচক্রের দৌরাত্ম্য লইয়া শুক্রবার সমকাল যেই সংবাদ দিয়াছে, উহা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয়টি জেলা সংযুক্তকারী আড়াই শত কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কের অন্তত ৩০টি পয়েন্টে পুলিশ অর্ধশতাধিক চক্রের সন্ধান পাইয়াছে, যাহারা যাত্রীবাহী বাসে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি করিয়া চলিয়াছে নিরন্তর। প্রায়শ আমদানি-রপ্তানির পণ্যও গায়েব করিয়া দেয়। প্রসঙ্গত, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক পণ্যবোঝাই যানবাহনের প্রায় শতভাগ এই মহাসড়ক ব্যবহার করিয়া থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়া আমদানি হওয়া পণ্যেরও ৭০ শতাংশ পরিবহন হয় এই পথে। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‍্যাব প্রদত্ত তথ্য বলিতেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গড়ে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধশত পণ্য চুরির ঘটনা ঘটিয়া থাকে। সেই হিসাবে বৎসরে পাঁচ শতাধিক চুরির ঘটনা ঘটে। এহেন পরিস্থিতি উক্ত মহাসড়কে যাতায়াতকারীদের জানমালের নিরাপত্তাহীনতাই শুধু প্রতিফলিত করে না; বিশেষত ব্যবসায়ীদের মধ্যেও নানাবিধ শঙ্কার জন্ম দেয়। এহেন ডাকাতির...
    বিগত কয়েক মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সহিত পাল্লা দিয়া সড়ক-মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা যে ভয়ংকররূপে বৃদ্ধি পাইয়াছে– উহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। রবিবার প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ সদরদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করিয়া দেখা গিয়াছে, গত জানুয়ারিতে সমগ্র দেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়াছে ৭১টি। পূর্বের বৎসর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ডাকাতির সংখ্যা ছিল ২৯। অর্থাৎ পুলিশের হিসাবেই ডাকাতি হইয়াছে দ্বিগুণের অধিক। এই কথাও বলা প্রয়োজন, পুলিশের পরিসংখ্যান দিয়া অপরাধ বা ডাকাতির সঠিক সংখ্যা জানা কঠিন। কারণ, অনেক ঘটনায় ভুক্তভোগী বহুবিধ কারণে মামলা করিতে উৎসাহ পান না। অনেক ঘটনায় পুলিশও সহজে মামলা গ্রহণ করে না। এদিকে, শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশেই গত দুই মাসে চারটি ডাকাতি হইয়াছে, যে সকল ঘটনায় ভুক্তভোগীর অর্থকড়ি ও স্বর্ণালংকার, এমনকি চাউলের বস্তাভর্তি ট্রাকও লুণ্ঠিত হইয়াছে। ইহার পূর্বে ঢাকা...
    বুধবার যেইভাবে গাজীপুর ও সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা দফায় দফায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালাইয়াছে, উহা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক। সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনসূত্রে জানা যাইতেছে, বেক্সিমকো গ্রুপের কয়েকটি কারখানা মাসখানেক পূর্বে বন্ধ হইবার কারণে শ্রমিকরা বর্তমানে কর্মহারা। একদিকে তাহাদের কর্মসংস্থানের জন্য কারখানা খুলিয়া দেওয়া জরুরি, অন্যদিকে বকেয়া পারিশ্রমিক পরিশোধও কম গুরুত্বপূর্ণ নহে। আমরা দেখিয়াছি, ইহার পূর্বেও শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায়ে রাস্তায় নামিয়াছেন; সপ্তাহখানেক পূর্বে কারখানা খুলিয়া দিবার জন্য মানববন্ধনও করিয়াছেন। আমরা মনে করি, শ্রমিকদের দাবি ন্যায্য এবং কেবল তাহাদের কর্মসংস্থানের জন্যই নহে, বরং দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদনশক্তি চালু রাখিবার তাগিদ হইতেও কারখানা খুলিয়া দেওয়া জরুরি।  আমরা জানি, গত মধ্য ডিসেম্বরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর ১৬টি...
۱