ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছিলাম দেশে চাঁদাবাজি, গুন্ডামি, মাস্তানি থাকবে না। মানুষ অধিকার ফিরে পাবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আবার সেই চাঁদাবাজি, গুন্ডামি, মাস্তানি, দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছি। তাই, আন্দোলন, সংগ্রাম, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। চাঁদাবাজদের হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে’।

আজ রোববার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘তোমাদেরকে বলবো, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, অন্যায়, জালেম, খুনিদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও যদি খুন হয়। মা-বোনকে ধর্ষণ, নির্যাতন করা হয় এবং দুর্নীতিতে দেশ ভরে যায়। তাহলে যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ, আন্দোলন, সংগ্রাম চলবে।’ 

জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম রশিদীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, দলের উপদেষ্টা আলহাজ্জ্ব মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন মাতুব্বর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্জ্ব মাওলানা কাজী গোলাম সরোয়ার, সহ-সভাপতি হাওলাদার মুহাম্মাদ গোলাম সরোয়ার, আলহাজ্জ্ব মাওলানা আবুল হাসান বোখারী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহা.

নজরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আর. আই. এম অহিদুজ্জামান প্রমুখ। সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।  

সম্মেলনে মুহা. মিরাজ হোসেনকে সভাপতি, মুহা. আমিনুল ইসলামকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মুহা. হাসান আলীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না

জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি গতকাল রোববার আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে– তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তাঁর জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে আগাতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিনি-লবণের অনুপম পাঠ
  • মে দিবস ২০২৫ : শ্রমিক-মালিক ঐক্যে গড়বে নতুন বাংলাদেশ
  • বিদ্যালয়ের ১৮টি গাছ বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক 
  • কর্ণাটকে ক্রিকেট খেলার সময় বচসা, যুবককে পিটিয়ে হত্যা
  • দেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর দাবি 
  • রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
  • কানাডায় আবারও লিবারেল পার্টির সরকার গঠনের আভাস
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে
  • জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে: ড. ইউনূস