বৈষম্যহীন দেশের জন্য সূর্য সেনের সেই লড়াই এখনও চলছে
Published: 12th, January 2025 GMT
সাম্রাজ্যবাদী শোষণ, লুণ্ঠন ও ঔপনিবেশিক পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগিয়েছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন ও তাঁর সহযোদ্ধারা। একটা গণতান্ত্রিক, শোষণ ও বৈষম্যহীন দেশের জন্য তাদের সেই লড়াই এখনও চলছে। সূর্য সেনের ৯১তম ফাঁসি দিবসে চট্টগ্রামে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
রোববার নগরের আন্দরকিল্লার জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে সূর্য সেনের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও সমাবেশ করা হয়। এ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) চট্টগ্রাম জেলা শাখা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, সদস্য আকরাম হোসেন, আহমদ জসীম, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সুপ্রীতি বড়ুয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, উম্মে হাবিবা শ্রাবণী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও সেই ব্যবস্থা এখনও পাল্টায়নি। দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, সিন্ডিকেট, শেয়ারবাজারে কারসাজি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নারী নির্যাতন, মন্দির-মাজারে হামলাসহ জনগণের জীবন ও জীবিকার প্রতিনিয়ত সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের সংবিধান, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে চলছে বিতর্ক ও বিকৃতির প্রয়াস। পতিত স্বৈরাচার কিংবা যুদ্ধাপরাধী রাজাকার এবং গণবিরোধী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ