ভারতীয় ক্রিকেটারদের সফরে পরিবার নিয়ে কড়াকড়ি
Published: 15th, January 2025 GMT
বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে হারের পর শক্ত অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের দলে না থাকা কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের রঞ্জির দলে যোগ দিতে বলেছে বোর্ড। সঙ্গে ভারতের সফরে পরিবার সঙ্গে নেওয়া নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
এখন থেকে ভারতের ক্রিকেটাররা সফরের পুরো সময় পরিবার সঙ্গে রাখতে পারবেন না। সফর ৪৫ দিন বা এর বেশি হলে খেলোয়াড়রা তাদের একান্ত পরিবার, যেমন- স্ত্রী-সন্তানদের সর্বোচ্চ ১৪ দিন সঙ্গে রাখতে পারবেন। এছাড়া দীর্ঘ সফরের ক্ষেত্রে প্রথম দুই সপ্তাহ পরিবার সঙ্গে রাখতে পারবেন না ক্রিকেটাররা।
সফর সংক্ষিপ্ত হলে ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পরিবার সঙ্গে রাখতে পারবেন। বিসিসিআই-এর নিয়ম পূর্বে এমনই ছিল। তবে কোভিড সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তান রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বোর্ড।
এছাড়া দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের টিম বাস ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। ব্যক্তিগত গাড়িতে পরিবারের সঙ্গে অনুশীলনে না আসার জন্য বলেছে। খেলোয়াড়দের পরিবারের থাকার ব্যবস্থা দেশটির ক্রিকেট বোর্ড করলেও তাদের স্টেডিয়ামে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করবে না বলেও পরিষ্কার করে দিয়েছে।
বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ শেষে গত শনিবার ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর, অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার বিসিসিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে এসব বিষয়ে তাদের পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গম্ভীর ভারতের সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অভিমত ভিন্ন ভিন্ন হবে। কেউ পরিবার রাখতে চাইবে, কেউ চাইবে না। শেষ পর্যন্ত ভারতের ক্রিকেটের স্বার্থই দেখতে হবে সকলের।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।