বন্দরে ৩ ডাকাতকে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ
Published: 16th, January 2025 GMT
বন্দরে ট্রাকসহ কোটি টাকা মূল্যের কানেকন্টর ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৩ ডাকাতকে ১ দিনে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুনরায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আদালত থেকে রিমান্ডে আনে।
রিমান্ডপ্রাপ্ত ডাকাতরা হলো বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের রামনগর এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে রুবেল (৩৮) একই এলাকার আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে আসলাম (৪০) ও ধামগড় ইউনিয়নের মনারবাড়ী এলাকার মৃত আলী হোসেন মিয়ার ছেলে আসলাম (৩৩)
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোর রাতে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বন্দরের তালতাল এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আশুলিয়া গ্রীন ডাইনেস্টি লিমিটেড’র ব্যবস্থাপক মোসলেম আলী বাদী বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- ৯(১)২৫ ধারা- ৩৯৫/ ৩৯৭ পেনাল কোড।
মোসলেম আলী জানান, ঢাকার আশুলিয়া কবিরপুর এলাকায় অবস্থিত গ্রীন ডাইনেস্টি লিমিটেড নামের তাদের এক ফ্যাক্টরি থেকে গত বুধবার রাতে ৪ লাখ ৭৫ হাজার পিছ কানেকন্টর নিয়ে একটি ট্রাক বন্দরের লক্ষনখোলা এলাকায় অবস্থিত ডিজেডিসি চায়না ব্যাটারী ফ্যাক্টরির উদ্দেশে রওনা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে মদনপুর- মদনগঞ্জ সড়কের ইস্পাহানি তালতলা এলাকায় ট্রাকটি এলে ১২/১৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রাকের গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চালক হেলপারকে মারধর করে কানেকন্টর ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, ডাকাতি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি হওয়া ট্রাকসহ আংশিক মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ৩ ডাকাতকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদেরকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক