ক’দিন আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিক অবসর বলেছেন তামিম ইকবাল। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া অবসর বার্তায় তামিম জানিয়েছিলেন, তার ছেলে খুব করে চেয়েছিল বাবা আবার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলুক। কিন্তু তামিম নিজের মনের কথা শুনেছেন। ‘বাবার অবসরের কারণ বড় হলে বুঝতে পারবা’, ছেলেকে দিয়েছেন এমন বার্তা। 

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে পর্বে তামিমের খেলা দেখতে এসেছিল তার ছেলে আরহাম ইকবাল খান। ঢাকা থেকে খেলা দেখতে আসা ছেলেকে ভালো একটা ইনিংস দেখাতে পেরে ও তার দল জয় পাওয়ায় খুশি বলে ম্যাচ শেষে জানান দেশ সেরা ওপেনার তামিম। 

তিনি বলেন, ‘ছেলে কথা বলতেছে তা তো আমি দেখিনি। কিন্তু এটা জানি ও ঢাকা থেকে আসছে খেলা দেখার জন্য। ও যেটা দেখতে চেয়েছিল, একটা ভালো খেলা দেখতে পেরেছে এজন্য হ্যাপি।’ 

ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তামিমের দল বরিশাল এদিন ৮ উইকেটে জিতেছে। ঢাকা ১৩৯ রানে অলআউট হয়। জবাবে তামিমরা ১৬ ওভারে রান তুলে ফেলে। তামিম ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন। দলের খেলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আরেকটু দ্রুত খেলা দরকার ছিল। আমাদের হাতে উইকেট ছিল, ১৪ ওভারের মধ্যে যদি শেষ করতে পারতাম। আমার কাছে মনে হয় এই একটা ট্রিক আমরা মিস করেছি।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে স্কুল শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায় জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।

বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বিদ্যালয়ের হলরুমে স্মৃতিচারণামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দেদারুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন আলম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা, সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি

স্কুল ভবনে ক্লাস চলাকালে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান

আয়োজকরা জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমান এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তারা অবসরে গেছেন। তাদের বিদায় সংবর্ধনা স্মরণীয় করে রাখতে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘‘দীর্ঘ ২১ বছর এই বিদ্যালয়ে চাকরি করেছি। চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা করবেন। চাকরি জীবন শেষে এমন সংবর্ধনা পাব কল্পনাও করিনি। এ জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’’ এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, ‘‘চাকরি জীবনে সবাইকেই অবসর নিতে হবে। আজ আমরা ইংরেজি শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় জানিয়েছি। এটা কষ্টের হলেও সবাইকে মেনে নিতে হবে। বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে তাদের দুজনকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে।’’

ঢাকা/সোহাগ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়