৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান হবে ক্যাপিটলের অভ্যন্তরে
Published: 18th, January 2025 GMT
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান ক্যাপিটল ভবনের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হবে। তীব্র ঠান্ডার কারণে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ক্যাপিটল বাইরের পরিবর্তে অভ্যন্তরে এ অভিষেক অনুষ্ঠান হবে। শনিবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, “দেশজুড়ে আর্কটিক বিস্ফোরণ চলছে। আমি কোনোভাবেই মানুষকে আহত দেখতে চাই না। অতএব, আমি প্রার্থনা এবং অন্যান্য বক্তৃতার পাশাপাশি উদ্বোধনী ভাষণটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল রোটুন্ডায় আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছি।
ক্যাপিটল ভবনের গম্বুজের নিচের স্থানটুকুকে রোটুন্ডা নামে ডাকা হয়। একে ক্যাপিটল ভবনের প্রতীক ও হৃৎপিণ্ড বলা হয়।
১৯৮৫ সালে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানটি ক্যাপিটলের ভেতরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের দ্বিতীয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় বিকেলের ঠান্ডা বাতাসের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে মাইনাস ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে ছিল।
সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সময় তাপমাত্রা প্রায় ১৯ ফারেনহাইট (মাইনাস ৭ সেলসিয়াস) থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা আরো শীতল অনুভূত হতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল