বলিউডরে তারকা দম্পতি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের বিচ্ছেদ নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে জল্পনার শেষ নেই। এর মাঝখানে কেমন রয়েছে তাদের একমাত্র কন্যা আরাধ্যা? কীভাবে তার দেখাশোনা করেন অভিভাবকেরা- এমন প্রশ্ন ওঠে বার বার।

আরাধ্যার বয়স মাত্র ১৩ বছর। গত এক বছরে বেশিরভাগ সময়ই কিশোরী আরাধ্যাকে দেখা গিয়েছে তার মায়ের সঙ্গে। একদিকে বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের নাতনি, অন্যদিকে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর কন্যা- এ দুইয়ে মিলে আরাধ্যার উপর প্রত্যাশার চাপ একটু বেশিই। কীভাবে তাকে সমলান অভিভাবকেরা?

এবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন বাবা অভিষেক বচ্চন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, তিনি যা শিখেছেন সবই তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে। সব সময় যে বলে বলে শেখানো হয়েছে তা নয় বরং তাদের জীবন থেকেই তিনি শিখেছেন। নিজের মেয়ের মধ্যেও সেই মূল্যবোধ গড়ে দিতে চান অভিনেতা।

তিনি বলেন, ‘আমি আসলে কে, এই খোঁজ করতে করতেই জীবন কেটে যায়। কিন্তু এই সময় কিছু মূল্যবোধ থাকা প্রয়োজন। আর যদি কেউ এই মূল্যবোধের জন্য আপনাকে মনে রাখে, এই মূল্যবোধ যদি আপনার পরিচিতি হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার জীবন সফল। আমি এই শিক্ষায় বড় হয়েছি। আশা করি, আমিও আমার মেয়েকে এমন শিক্ষাই দিতে পারব।’

সব সময় অভিভাবকেরাই যে সেরা শিক্ষক হয়ে উঠবেন সেটাও মনে করেন না অভিষেক। তার কথায়, ‘আমি মনে করি না বাবা-মা সব সময় সেরা শিক্ষক হয়ে উঠবেন। সন্তানের ক্ষেত্রে আমাদের আবেগ অনেক সময়ই আমাদের ধ্যানধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয়। আমার মনে হয় অভিভাবকেরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শিক্ষা দিতে পারেন।’ 

৮২ বছর বয়সেও সকাল ৭টায় শুটিং শুরু করেন অমিতাভ বচ্চন। সেই উদ্দীপনা থেকে নিজেকে বাবার জায়গায় দেখতে চান অভিষেক। সে কথা স্পষ্টই জানিয়ে অভিষেক জানান, বয়স যখন ৮২ হবে তখন তার মেয়েও যেন একইভাবে তাকে নিয়ে গর্ব বোধ করতে পারে। সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর ধ য

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। এর পরে দেশের আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা হয়। নির্বাচনের জন্য এর পরের সময়টা উপযুক্ত নয়।

আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জনজীবনের সংকট দূর হবে। আমরা আগেই প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলাম, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করতে। কিন্তু এত দিন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সরকার এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল, যে সময়টা যথাযথ ছিল না।’

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে রাজনীতিতে আস্থাপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি দেশের জন্য এই পরিবেশ বজায় থাকা জরুরি। সংস্কারের জন্য এই পরিবেশ সহায়ক হবে। এত দিন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় সংস্কার নিয়ে তেমন অগ্রগতি ছিল না। এখন সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করা যাবে।’

সংস্কার কার্যক্রমকে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে মীমাংসা করবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করছি। সর্বোচ্চ মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, তার ওপর জুলাই সনদ তৈরি হবে। এসব বিষয়ে আরও আলাপ–আলোচনা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই হত্যার বিচার শুরু হয়েছে, এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি