সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের প্রাণকেন্দ্রে নাইকি ও লিভাইসের যৌথ স্টোরের উদ্বোধন হয়েছে। নাইকি ও লিভাইস ফ্র্যাঞ্চাইজি পার্টনার ‘ডিবিএল’ গ্রুপের রিটেইল অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিবিএল লাইফস্টাইলস এ তথ্য জানিয়েছে। 
ডিবিএল লাইফস্টাইলসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্রেতাদের জন্য কেনাকাটার এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে স্টোরটি স্থানীয় রিটেইল ইন্ডাস্ট্রিতে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। গত ১৩ জানুয়ারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ক্রেতাসাধারণ। অতিথিরা উপভোগ করেছেন এক অনন্য শপিং অভিজ্ঞতা, যা ছিল এক্সক্লুসিভ পণ্য প্রদর্শনী এবং আধুনিক শোরুমে নাইকির সর্বশেষ পারফরম্যান্স গিয়ার ও লিভাইসের ডেনিম সংগ্রহের প্রদর্শনী। এটি গুণগত মান ও স্টাইলের নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে শপিং প্রেমিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। 
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিবিএল গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, এম এ জব্বার; ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

এম এ রহিম, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ কাদের (অনু), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গ্রুপ সিইও।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাইকি ইনকরপোরেটেড অ্যাথলেটিক জুতা, পোশাক এবং সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অনন্য নকশার সমন্বয়ে নাইকি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ক্রীড়াশিল্পের শীর্ষস্থানে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। লিভাইস ডেনিম এবং নৈমিত্তিক পোশাকের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বস্থানীয় একটি নাম, যা এর ঐতিহ্যবাহী ৫০১ জিন্স এবং টেকসই ফ্যাশনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লিভাইস তার স্টাইল, অনন্য মান এবং নির্ভরযোগ্যতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।
ডিবিএল গ্রুপের রিটেইল বিজনেস অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিবিএল লাইফস্টাইলস বাংলাদেশে পুমা, নাইকি, লিভাইস এবং অ্যাডিডাসের ফ্র্যাঞ্চাইজি পার্টনার। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আটটি স্টোর রয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের অভিজাত অভিজ্ঞতাকে বাংলাদেশের মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ডিবিএল লাইফস্টাইলস দেশব্যাপী তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না: বদিউল আলম মজুমদার

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী—দুজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচনপদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারা দেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণপদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

শামা ওবায়েদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ