ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে নাইকি ও লিভাইসের স্টোর উদ্বোধন
Published: 18th, January 2025 GMT
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের প্রাণকেন্দ্রে নাইকি ও লিভাইসের যৌথ স্টোরের উদ্বোধন হয়েছে। নাইকি ও লিভাইস ফ্র্যাঞ্চাইজি পার্টনার ‘ডিবিএল’ গ্রুপের রিটেইল অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিবিএল লাইফস্টাইলস এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিবিএল লাইফস্টাইলসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্রেতাদের জন্য কেনাকাটার এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে স্টোরটি স্থানীয় রিটেইল ইন্ডাস্ট্রিতে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। গত ১৩ জানুয়ারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ক্রেতাসাধারণ। অতিথিরা উপভোগ করেছেন এক অনন্য শপিং অভিজ্ঞতা, যা ছিল এক্সক্লুসিভ পণ্য প্রদর্শনী এবং আধুনিক শোরুমে নাইকির সর্বশেষ পারফরম্যান্স গিয়ার ও লিভাইসের ডেনিম সংগ্রহের প্রদর্শনী। এটি গুণগত মান ও স্টাইলের নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে শপিং প্রেমিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিবিএল গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, এম এ জব্বার; ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাইকি ইনকরপোরেটেড অ্যাথলেটিক জুতা, পোশাক এবং সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অনন্য নকশার সমন্বয়ে নাইকি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ক্রীড়াশিল্পের শীর্ষস্থানে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। লিভাইস ডেনিম এবং নৈমিত্তিক পোশাকের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বস্থানীয় একটি নাম, যা এর ঐতিহ্যবাহী ৫০১ জিন্স এবং টেকসই ফ্যাশনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লিভাইস তার স্টাইল, অনন্য মান এবং নির্ভরযোগ্যতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।
ডিবিএল গ্রুপের রিটেইল বিজনেস অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিবিএল লাইফস্টাইলস বাংলাদেশে পুমা, নাইকি, লিভাইস এবং অ্যাডিডাসের ফ্র্যাঞ্চাইজি পার্টনার। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আটটি স্টোর রয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের অভিজাত অভিজ্ঞতাকে বাংলাদেশের মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ডিবিএল লাইফস্টাইলস দেশব্যাপী তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।