বিপিএল নিয়ে এরই মধ্যে নানান সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বড় বড় ওয়াইড, ১ বলে ১৫ রান, ১২ বলের ওভার, ব্যাটারদের হুট করে ধীর গতির ব্যাটিংকে অনেকে আঁতশিকাচ দিয়ে দেখছেন। তবে বিসিবি ও এসিইউ (এন্টি করাপশন ইউনিট) এটাকে বলছে অতিরঞ্জিত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তদন্তের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

উসমান খান এবারের বিপিএলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। অথচ হুট করে তাকে ১৫ জনের দলের বাইরে রাখা হয়। এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। যদিও চট্টগ্রাম কিংসের টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, উসমান খান রানে না থাকায় বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বিনুরা ফার্নান্দো হুট করে একাদশের বাইরে যাওয়া নিয়ে জানানো হয়েছে, তার পরিবারে বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটায় তাকে একাদশে রাখা হয়নি। 

ক্রিকেটারদের সম্মানীর চেক বাউন্স করায় দুর্বার রাজশাহীর মালিক ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের এমডি শফিকুর রহমানকে নজরদারিতে রাখার গুঞ্জন ওঠে। বিষয়টি সত্য নয় বলে জানা গেছে। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে রাজশাহীর অন্যতম এ মালিক জানান, তিনি বিপিএলে নতুন হওয়ায় অনেক নিয়মকানুন জানেন না। বল না থাকা, হোটেল ভাড়া, খাবার বিল সম্পর্কেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইস্যু বানানো হয়েছে এমন দাবি তার। 

বিপিএল নিয়ে সন্দেহের প্রশ্নে বিসিবি এসিইউ জানিয়েছে, কিছু ক্রিকেটারের বিষয়ে তারা তদন্তের অনুমতি চেয়েছেন। কিন্তু ৪০ ক্রিকেটারকে নজরদারিতে রাখার বিষয়টি অতিরঞ্জিত। জানা গেছে, সন্দেহের জালে কেউ কেউ আছেন। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ ক’জন বোলারকে স্পট করেছেন। সন্দেহজনক ওভারগুলো পর্যালোচনা করে বিসিবিকে নোট দিয়েছেন তারা।

এসিইউপ্রধান মেজর (অব.

) রায়ান আজাদ বলেন, ‘যা কিছু দেখছেন অতিরঞ্জিত। সন্দেহ থেকে যে যার মতো ব্যাখ্যা করছে। আমরা বা আপনাদের সন্দেহ হলেও প্রমাণ ছাড়া কোনো কিছু বলা যাবে না। কেউ সাহায্য চাইলে আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি। একে ধরছি, ওকে ধরছি, বিষয়টি ঠিক না।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

করোনা প্রতিরোধে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা

ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য ডেস্কে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা।

সরেজমিনে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে গিয়ে দেখা গেছে, একজন স্বাস্থ্যকর্মী ভারত থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে। ভারতের আগরতলা থেকে আসা পাসপোর্ট গাড়ি যাত্রী উত্তম রায় জানান, বাংলাদেশে আসার পর ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য ডেস্কে নাম-মোবাইল নাম্বার এন্টি, তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছেন। 

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য ডেস্কে অবস্থানরত কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিম মিয়া বলেন, ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ভারতের থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্যানিং করে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথা আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। তাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনার সিম্পটম আছে এমন কোনো ভারতীয় যাত্রী বাংলাদেশে আসেনি।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের নজরদারি ও সার্বক্ষণিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত কোন ভারতীয় যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক আইসোলোশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখনো নজরদারি ও অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে: আর্টিকেল নাইনটিন
  • করোনা প্রতিরোধে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা