চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হাবিল আলী নামে এক কৃষক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি জানিয়েছেন শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাসেদ আলী। তবে বিজিবি এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

আহত মো. হাবিল আলী (৩২) শাহবাজপুর ইউনিয়নের তেলকুপি লম্বাপাড়া গ্রামের মৃত মো. বেলাল হোসেনের ছেলে।

আহত হাবিলের ভাই জামাল আলীর দাবি, ফজরের আজানের সময় তার ভাইসহ কয়েকজন গমের জমিতে পানি দিতে গেলে বিএসএফ গুলি করে। তার দাবি, তার ভাইয়ের নামে চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও মামলা নেই।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়ার্ড সদস্য কাসেদ আলী জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কৃষক হাবিল আলী তার গমের জমিতে পানি দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে আহত অবস্থায় তার স্বজনরা উদ্ধার করেন। এ সময় তারা ৪/৫ রাউন্ড গুলির শব্দ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবি ও জনপ্রতিনিধিরা সীমান্তে সন্ধ্যা ৬টার পর না যাওয়ার নির্দেশনা দিলেও কেন তিনি ওখানে গেলেন তা অগ্রহণযোগ্য।

অপরদিকে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া দাবি করেন, রাতে চোরাচালানকারী দলের সদস্যরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টার জন্য সীমান্তে অবস্থান করছিল। এ সময় বিএসএফ ৩/৪ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। ওই ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কি না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আহত ব্যক্তি কৃষক কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্নে তিনি বলেন, রাত ৩টার দিকে সীমান্তে কারা যায়?

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র গ ল আহত ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ