আইভী, শামীম ও সেলিম ওসমানকে জেলে দেখতে চায় নারায়ণগঞ্জবাসী : সাখাওয়াত
Published: 2nd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ১৫ বছর খুনি সন্ত্রাসী শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করা হয়েছিলো। তারা আবারও নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করতে চায়, আবারও সেই সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করতে চায়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ এবার তা আর হতে দেবে না।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসী শামীম ওসমানকে জেলে দেখতে চায়, সেলিম ওসমানকে জেলে দেখতে চায়, আইভীকে জেলে দেখতে চায়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের জেলে দেখতে চায়। তাদের হাতে ছাত্র-জনতা হত্যার রক্ত।
দেশের নিরীহ ছাত্র জনতাকে হত্যা করে তারা রক্তে হাত রঞ্জিত করেছে। তাই তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারপরে দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগ এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের খুঁজছি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আপনাদের খুঁজছে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের খুঁজছে।
আপনাদেরকে ধরে আমরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো এবং ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার কার্যকর করার ব্যবস্থা করবো। আপনারা যে অপরাধ করেছেন সে অপরাধের শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। সেটা নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আপনাদের প্রতিহত করে যাবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ল ম ওসম ন শ ম ম ওসম ন ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ম ওসম ন আপন দ র দল র স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।