বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে একাই জিতেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। 

সোমবার হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের নিবার্চনে ১৮টি পদের মধ্যে বদিউজ্জামান বদুর নেতৃত্বাধীন প্যানেল ১৭টিতে জয় পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র ঐক্য হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম প্যানেল থেকে সাধারণ গ্রুপ একমাত্র ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন নির্বাচিত হয়েছেন।

আর দিবাগত রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম সানি। হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ আর অ্যাসোসিয়েট গ্রুপের ১৮ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সাধারণ গ্রুপে ১২টি পদ এবং অ্যাসোসিয়েট গ্রুপে ৬টি পদে লড়াই হয়।

বদিউজ্জামান বদু প্যানেল ১৮টি পদে প্রার্থী দিলেও ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপনের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র ঐক্য হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম ১৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

নির্বাচনে সাধারণ গ্রুপের ১২টি পদে নির্বাচিতরা হলেন, বদিউজ্জামান বদু, আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মো.

দুলাল মল্লিক, আতাউর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. মনির হোসেন, হাজী মো. শাহীন, মো. আব্দুল হাই, বৈদ্যনাথ পোদ্দার, মো. মাসুদুর রহমান, মো. পারভেজ মল্লিক ও ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন।

অ্যাসোসিয়েট গ্রুপে নির্বাচিত হয়েছেন সাঈদ আহম্মেদ স্বপন, নাছির শেখ, নাছিম আহম্মেদ, অনিল সাহা, বিল্লাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম হিরু শেখ।

আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে পরাজিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, মো. মাসুদ রানা, মো. নাজমুল হক, দিদার খন্দকার।

গত ৪ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৮ জানুয়ারি প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বরসহ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ৩ ফেব্রয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ধানের শীষের প্রচারণায় বিএনপির দুই নারী কর্মীকে মারধরের অভিযোগ জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে

রাজশাহীর পবা উপজেলায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে বিএনপির দুই নারী কর্মী মারধর ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের অলকার মোড়ে একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেন দুই বোন। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তবে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।

অভিযোগকারী দুজন হলেন উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের নিলুফার ইয়াসমিন ও তাঁর বোন নূরভানু। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, গত মঙ্গলবার বোন নূরভানুসহ বিএনপির কয়েকজন নারী কর্মীকে নিয়ে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে দলটির প্রার্থী শফিকুল হকের পক্ষে প্রচারণায় যান। পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নে তাঁরা লিফলেট বিতরণ করছিলেন। সন্ধ্যায় কাজ শেষে ফেরার পথে আশরাফের মোড় এলাকায় নাজমুল নামের এক ব্যক্তি তাঁদের জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে বলেন। এ সময় সেখানে জামায়াতের কর্মী নুরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

নিলুফার আরও বলেন বলেন, ‘আমরা বলি, আমরা বিএনপির কর্মী, ধানের শীষের জন্য ভোট চাই; জামায়াতের ভোট কেন চাইব?—এ কথা বলার পর তাঁরা (জামায়াতের নেতা-কর্মীরা) বিএনপিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য শুরু করেন। এর প্রতিবাদ করলে নুরুল ইসলাম একপর্যায়ে পায়ের স্যান্ডেল খুলে আমার বোন নূরভানুর ঘাড়ে আঘাত করেন এবং আমার পেটেও লাথি মারেন। ভোটের কথা বলায় আমাদের এভাবে মারধর করা হলো।’

নিলুফারের অভিযোগ, ঘটনার পর কাঁটাখালী থানায় অভিযোগ করা হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক বলেন, ‘এটি শুধু বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা নয়, নির্বাচনে বিরোধীপক্ষের প্রচারণায় বাধা দেওয়ার একটি ফ্যাসিবাদী অপচেষ্টা। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব আবদুর রাজ্জাকসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওই দুই নারীকে স্যান্ডেল দিয়ে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বউ নৌকায় ভোট দিছে’—এটি বলে কটূক্তি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারীদের শুধু ধাক্কা দিয়েছিলাম। এই কথা আমার আত্মসম্মানে লাগে। আমার এক পা আগের রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত, অন্য পায়েও সমস্যা। রাগের মাথায় ধাক্কা দিয়েছি, কিন্তু স্যান্ডেল দিয়ে মারিনি।’

নুরুলের দাবি, অভিযোগকারী নিলুফার বিএনপির কর্মী নন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলীয় পরিচয় জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী এবং সংগঠনের ‘রোকন’ হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন। রাজশাহী কলেজে পড়ার সময় তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথি ছিলেন।

জানতে চাইলে পবা উপজেলা জামায়াতের আমির আযম আলী বলেন, নুরুল ইসলাম জামায়াতের একজন সমর্থক। তবে ওই দিন কী ঘটনা ঘটেছে, সেটি তিনি জানেন না।

এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কাঁটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন। তিনি বলেন, জিডিটি আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ