সোনারগাঁয়ে ছেলে এমরান হোসেন মুকুলের কাছে পাওনা টাকা না পেয়ে তার ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা মমতাজ বেগমের ওপর হামলা করেছে পাওনাদাররা। গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে জামপুর ইউনিয়নের চরতালিমাবাদ গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই বৃদ্ধাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার ছোট ছেলে মো.

অনিক বাদি হয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের চরতালিমাবাদ গ্রামের  হাবিবুল্লাহর ছেলে এমরান হোসেন মুকুলের কাছ থেকে একটি সমিতির লেনদেন নিয়ে ওই এলাকায় গ্রাহকরা টাকা পান।

গত বুধবার বিকেলে গ্রাহক মাঝের চর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল মিয়া,তার মা আকলিমা বেগম, সেকেরহাট গ্রামের হামিরউদ্দিনের ছেলে জয়নাল ও চরতালিমাবাদ গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে হাসানসহ আরো ৩-৪জন মিলে এমরানের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে তাকে না পেয়ে তার বৃদ্ধা মা মমতাজ বেগমের ওপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করে।

 হামলাকারীদের হাতে থাকা লাঠির আঘাতে ওই বৃদ্ধার কোমড় ভেঙে যায়। এসময় বৃদ্ধার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বাদি অনিক জানান, তার বড় ভাই এমরান হোসেন মুকুল, ফারুকুল ইসলাম শাহিন ও কামাল হোসেন মিলে ওই এলাকায় একটি সমিতির গড়ে তোলে। ওই সমিতিতে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ ঋণ গ্রহন ও সঞ্চয় করে। সমিতির আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়।

এ আর্থিক ঘটনায় সঙ্গে তার ভাই মুকুল জড়িত থাকলেও তারা কেউ জড়িত না। এ পাওনা টাকা না পেয়ে কয়েকজন মিলে তাদের বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের ওপর হামলা করে কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে ফেলে। এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন। 

অভিযুক্ত ফয়সাল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ও তার মা হামলা করেননি বলে দাবি করেন। তবে সেখানে ওই বৃদ্ধাকে টেনে নেওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হন বলে দাবি করেন। 

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ওই ব দ ধ স ন রগ এমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ: ফখরুল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে “বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার এক নতুন অধ্যায়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এবারকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “তফসিল ঘোষণা শুধু নির্বাচনসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক গুরুত্বপুর্ণ মুহূর্ত। দেশের জনগণ বহু অপেক্ষার পর যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে, তার সূচনা এই তফসিল।” 

আরো পড়ুন:

সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ

বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

অতীতের মতো কোনোরূপ পক্ষপাত, প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে একটি মুক্ত, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জনগণই দেশের মালিক। তাদের রায়কে সম্মান জানানো এবং ভোটের অধিকার রক্ষা করাই বিএনপির মূল অঙ্গীকার।’’

ফখরুল আরও দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে সামনে রেখে বিএনপি মাঠে শক্তিশালীভাবে উপস্থিত থাকবে এবং গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা চাই একটি সুষ্ঠু পরিবেশ, সমান সুযোগ, পর্যাপ্ত স্বাধীনতা এবং সব দলের জন্য মাঠ সমতল রাখা হোক। জনগণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চায়।” 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাবে।

ফখরুল আরও বলেন, ‘‘অতীতের অভিজ্ঞতা জনগণকে সতর্ক করেছে। তাই এবার তারা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন ও রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি নির্ধারক সময়। দেশের গণতন্ত্র, ভবিষ্যৎ এবং নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন রক্ষায় এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। 

ঢাকা/আলী//

সম্পর্কিত নিবন্ধ