রাজধানীর উত্তরায় তিন ছাত্র আটকের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাওয়ের পর উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হামলা চালান বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্তব্যরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহাদেব আহত হয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। সেখান থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমাদের তিন সহপাঠী আকাশ, রবিন ও বাপ্পিকে আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পূর্ব থানায় আমরা গিয়ে জানতে পারি, তিন ছাত্রকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের হেফাজতে রেখেছে। এতে উত্তেজিত ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে থানার গেটে হামলা চালিয়েছে।

চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ওই তিন ছাত্রকে পরে পুলিশ ছেড়ে দেয়। সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রদের বৈঠক চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরা পূর্ব থানার কম্পিউটার ল্যাব রুমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কেটিএম এখন পুরোপুরি বাজাজের

অস্ট্রিয়ার মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা কেটিএম-কে পুরোপুরি অধিগ্রহণ করলো ভারতের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী সংস্থা বাজাজ অটো। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের বাজারে জনপ্রিয় মোটরবাইকের ব্র্যান্ড ‘পালসার’ তৈরি করে বাজাজ অটো। ২০০৭ সাল থেকেই কেটিএম-এ বিনিয়োগ ছিল বাজাজের। ওই সময় ভারতীয় ব্র্যান্ডটি অস্ট্রিয়ান ব্র্যান্ডের ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব অর্জন করেছিল। ধীরে ধীরে কেটিএম-এ বাজাজের অংশীদারিত্ব ৪৮ শতাংশে উন্নীত হয়। তিন বছর আগে ২০২১ সালে বাজাজ অটো পিয়েরার বাজাজ এজি-তে ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব অর্জন করে। বাকিটা পিয়েরার ইন্ডাস্ট্রি এজি-র (পিআইএজি) ব্যানারে উদ্যোক্তা স্টেফান পিয়েরারের মালিকানাধীন ছিল। বাজাজের পুনে কারখানা থেকে প্রথম কেটিএম বাইকটি বাজারে আসে ২০১২ সালে।

কেটিএম পুরোপুরি অধিগ্রহণ করতে বাজাজ দিতে হয়েছে ৮০ কোটি  ইউরো, যা ভারতীয় অঙ্কে প্রায় সাত হাজার ৭৬৫ কোটি রুপি।

কেটিএম অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০২৫ সালের মে মাসে। সর্বশেষ নিয়ন্ত্রক ফাইলিং অনুসারে, কেটিএম-এর সাবেক মূল কোম্পানি পিয়েরার মোবিলিটি এজি এর নাম পরিবর্তন করে বাজাজ মোবিলিটি এজি রাখা হয়েছে। বাজাজ চলতি মাসের শুরুতে ৯টি নিয়ন্ত্রক ছাড়পত্রের মধ্যে আটটি পেয়েছিল। ইউরোপীয় কমিশন থেকে ১০ নভেম্বর চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায় এবং ১৮ নভেম্বর চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়। ওই দিন সব ধরনের অনুমোদন সম্পন্ন করার পর পিআইএজি থেকে সমস্ত ৫০ হাজার ১০০ শেয়ার অধিগ্রহণ করে বাজাজ। এর বদৌলতে আনুষ্ঠানিকভাবে পিবিএজিতে পিয়েরার গ্রুপের অংশীদারিত্বের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে, বাজাজ এখন কেটিএম-এর কার্যক্রমের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে, পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী তাদের বিস্তৃতি প্রসারিত করার সুযোগ পেয়েছে। বাইকপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা কেটিএমকে বাজাজ কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে আগামী দিনগুলোতে হাজির করবে তা এখন দেখার বিষয়।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ