জুলাই আন্দোলনের আহতদের বিদেশি চিকিৎসকেরা করমুক্ত সুবিধা পাবেন
Published: 5th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা করতে আসা বিদেশি চিকিৎসকদের ফি, হোটেলভাড়া, আপ্যায়ন ব্যয় বাবদ যত টাকা দেওয়া হবে, তা আয়করমুক্ত থাকবে। আজ বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এতে সই করেছেন। এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই বিদেশি চিকিৎসকের ফি, হোটেলভাড়া, আপ্যায়ন ব্যয়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হবে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য বিদেশি চিকিৎসকদের অনুকূলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফি, হোটেলভাড়া, খাবার ব্যয় ও বিমানভাড়া বাবদ অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি দেওয়া হলো।
২০২৩ সালের আয়কর আইনের ৭৬ ধারার ১ নম্বর উপধারার ক্ষমতাবলে এই অব্যাহতি দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি নাগরিকদের তাঁদের কাজের জন্য বেতন বা সম্মানীসহ যেকোনো পরিমাণ অর্থ দেওয়া হলে তার ওপর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত উৎসে কর কেটে রাখার বিধান আছে।
এর আগে বিদেশি চিকিৎসকদের ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে বিদেশি চিকিৎসকদের অনুকূলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফি, হোটেলভাড়া, আপ্যায়ন ব্যয়কে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।