দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ‘1st National Youth Cancer Congress 2025’। বিশ্ব ক্যানসার দিবসকে সামনে রেখে ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজন করে দিনব্যাপী এ ক্যানসার সম্মেলনের। গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ তরুণ ক্যানসার সম্মেলনে দেশের প্রায় ১৫টি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও নবীন চিকিৎসক অংশ নেন।

সম্মেলনের আয়োজক ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মাসুমুল হক বলেন, প্রতিবছর ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ নানা উদ্যোগের মধ্যে বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর তারা প্রথমবারের মতো জাতীয় তরুণ ক্যানসার সম্মেলনের আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ ধরনের বৈজ্ঞানিক সম্মেলন খুব একটা হয় না। অথচ তরুণেরাই দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কান্ডারি। ক্যানসারের চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও গবেষণায় আমাদের তরুণদের উৎসাহ বৃদ্ধি ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ আয়োজন সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ক্যানসার চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, দেশে ক্যানসার রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে। বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ক্যানসার রোগী আছে, তা আগামী দশকের মধ্যে দ্বিগুণের বেশি হবে। এই বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসার জন্য যে সংখ্যক দক্ষ জনবল প্রয়োজন, তা আমাদের নেই।’ তাই তিনি জানান, এ ধরনের আয়োজন তরুণদের মধ্যে ক্যানসার চিকিৎসা ও গবেষণা কার্যক্রমকে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ অতিথি গাইনি চিকিৎসক অধ্যাপক লতিফা শামসুদ্দিন বলেন, তরুণ চিকিৎসকদের মানবিক চিকিৎসক হতে হবে এবং এই সেবাকে আরও সম্প্রসারিত করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যানসার চিকিৎসক অধ্যাপক এ এফ এম কামালউদ্দিন, জাহাংগীর আলম, লুবনা মরিয়ম, মিথিলা ফারুকী, আরমান রেজা চৌধুরী, মানিফা নাজ ফাতমা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক অ

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • চিকিৎসক মাত্র ৩ জন, অন্তঃসত্ত্বাদের সেবায় নার্স, দাঁতের চিকিৎসায় টেকনোলজিস্ট
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া