বন্দরে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা লুটপাট, গ্রেপ্তার ১
Published: 10th, February 2025 GMT
বন্দরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যবসায়ীর গরু ও জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনী বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মুন্না(৩০) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসী মুন্না বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকার আবুল কালাম ওরফে মুইচ্ছা কালাম মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর উপজেলার মদনপুর হেদায়তপাড়া এলাকায় এ লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হামলাকারীরা তিনটি গরু ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সেলিম আহামেদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনীর প্রধান সোহেল সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা নং ১৫(২)২৫ ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৮৫/৩৮৬/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড- ১৮৬০।
মামলার আসামিরা হলো, সোহেল(৩২) দিপু (৩১), অপু (২৯), মুন্না (৩০),ফয়সাল (২৫), রাজিব(২৮), শাহজালাল ভূইয়া ওরফে ভাল্লুক (৩২), রাসেল (৩৫), মামুন (৩৫), রেজাউল (৩৮), সজিব (২৫) ও সুমন ওরফে কালু (২৮)।
জানাগেছে, উপজেলা মদনপুর ইউপির হেদায়তপাড়া এলাকার মৃত তোতা মাতবরের ছেলে ব্যবসায়ী সেলিম আহম্মেদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল একই এলাকার সন্ত্রাসী সোহেল ও দীপু এবং তাদের বাহিনীর লোকজন।
এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মদনপুর মৌজাস্থ ব্যবসায়ী সেলিমের মালিকানাধীন ৪৫ শতাংশ নাল জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছিল।
এ ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবগত করলে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত রোববার সকালে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও তিনটি গরু সহ ব্যাপক লুটপাট করে নিয়ে যায়। এখবর পেয়ে রোববার বিকালে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং মুন্না নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, মদনপুরের এক ব্যবসায়ীর মাটি কেটে নেওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ব যবস য় র মদনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক