সরকারি অনুদান নেওয়ার ছয় বছর পর গত শুক্রবার মুক্তি পায় ‘দায়মুক্তি’ সিনেমা। বৃদ্ধাশ্রমের গল্পকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে এটি। বদিউল আলম পরিচালিত এ সিনেমার ‘অন্তরে বাহিরে’ গানটি প্রকাশের পর চারপাশে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে। শ্রোতামহলে অনেকে নতুন এই গানের কথা, সুর ও গায়কির প্রশংসা করছেন। কবির বকুলের কথায় জাহিদ নীরবের সংগীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সাব্বির নাসির ও কোনাল। জনপ্রিয় এই দুই শিল্পীর একসঙ্গে এটিই প্রথম প্লেব্যাক।

গানটি নিয়ে সংগীতশিল্পী সাব্বির নাসির বলেন, “দায়মুক্তি’ সিনেমায় প্রথম কোনালের সাথে ‘অন্তরে বাহিরে’ এই ডুয়েট প্লেব‍্যকে গাইলাম। প্রজেক্টটি বছর ২/৩ আগের। চলচ্চিত্রটি অবশেষে রিলিজ হওয়াতে ভালো লাগছে। গানটির কথা দিয়েছেন প্লেব্যাক‍ লিরিকস মাস্টার কবির বকুল ভাই। মুরাদ নূর গানটির প্রথম সুর সংযোজন করেছিলেন। সেটিও সুন্দর সুর ছিল। পরে জাহিদ নীরব সুরারোপ করেন চলচ্চিত্রটির প্রয়োজনে। সেটিও বেশ সুন্দর হয়েছে। নীরবের কম্পোজিশনে এর আগেও কাজ করেছি। কোনাল তো অসাধারণ গান করেন। চমৎকার গেয়েছেন। আমি চেষ্টা করেছি তার সাথে তাল মেলাতে। কতটুকু পেরেছি শ্রোতা-দর্শকই বলতে পারবেন। জসিম ভাই আর খোকন ভাইকে অসংখ‍্য ধন‍্যবাদ।”

রাইসা ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির কাহিনি ও সংলাপ রচনা করেছেন কমল সরকার। ২০১৭ সালে অনুদান পেয়েছিল এ সিনেমা। সিনেমাটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও সুম্মি রহমান। গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। তা ছাড়াও আছেন সামিয়া নাহি, সুচরিতা, সুব্রত প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

ওমরা পালনে সৌদি আরবে যাচ্ছেন ওমর সানী

‘মানুষের ধর্মই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা’

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ