ফ্যাশন ঐতিহ্য, উদ্ভাবনী ডিজাইন এবং টেকসই উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ফ্যাশন লিগ্যাসি ২০২৫। ৮ ফেব্রুয়ারি আলোকি কনভেনশন হলে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ফ্যাশন শোতে এপেক্স তাদের ঈদ ২০২৫-এর নতুন কালেকশন লঞ্চ করে। ঈদের জন্য বিশেষভাবে তিওয়াইন করা তাদের ম্যাভেরিক ব্র্যান্ডের পোশাকের নতুন লাইনও নিয়ে আসে। এ ছাড়া ব্র্যান্ডটির বিভিন্ন সাব-ব্র্যান্ড যেমন মুচি, ভেনচুরিনি, ম্যাভেরিকের ভিন্নধর্মী নতুন ডিজাইন ও স্টাইলের জুতা প্রদর্শন করা হয় বাংলাদেশ ফ্যাশন লিগ্যাসি ২০২৫-এ।
এ আয়োজনে রেড কার্পেট মিট অ্যান্ড স্ট্রিট পর্ব শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সাড়ে ৭টায় শুরু হয় মূল ফ্যাশন শো। সেখানে এপেক্সের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করে বিশ্বরঙ, লুসোবেলা, আমিরা, এ জি, লেবেল ইমাম হাসান, ফিন্ট এলিগেন্স, পিষ্টি প্রমিস বাই নিতি এবং ডিজাইনার শৌমিন আফরিন। নন্দিত মডেল এবং অভিনেত্রীরা এ ফ্যাশন শোতে শো-স্টপার হিসেবে ভূমিকা রাখেন। এপেক্সের জন্য শো-স্টপার হিসেবে আসেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে দেশের সেরা মডেলদের সম্মাননাও জানায় বাংলাদেশ ফ্যাশন লিগ্যাসি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৮৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং, গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।