রিটার্ন জমার সময় শেষ কাল, অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবেন যেভাবে
Published: 15th, February 2025 GMT
আগামীকাল রোববার ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ হাতে সময় আছে মাত্র আজ ও আগামীকাল। এরপর জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দেওয়া যাবে না।
রিটার্ন জমার সময়সীমা এর আগে তিন দফা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি এক আদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করে। যারা অনলাইনে নয়, সনাতনী পদ্ধতিতে কাগুজে রিটার্ন দিতে চান, তাঁরা আগামীকাল নিজ নিজ কর কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
এবার কর কার্যালয়ে স্বশরীর রিটার্ন জমার চাপ অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন জমা বেশি উৎসাহিত করছে। যাঁরা এখনো রিটার্ন জমা দেননি, তাঁদের দ্রুত কাগজপত্র সংগ্রহ করে আজকালের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত অনলাইনে প্রায় ১৫ লাখ রিটার্ন জমা পড়েছে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। এখন দেশে ১ কোটি ১১ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারী আছেন। সব মিলিয়ে রিটার্ন দেন প্রতিবছর ৪০ লাখের মতো টিআইএনধারী।
যেভাবে রিটার্ন জমা দেবেনঅনলাইন রিটার্ন জমার ঠিকানা হলো etaxnbr.
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন তথা ই-রিটার্ন দিতে করদাতাকে কাগজপত্র আপলোড করতে বা জমা দিতে হবে না। শুধু ওই সব দলিলের তথ্য দিলেই হবে। যেমন সনাতনী পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয়ের বা বেতন-ভাতার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিলেই চলবে। আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে।
কোনো করদাতা অনলাইনে নিবন্ধন ও রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়লে এনবিআরের কলসেন্টারের সহায়তা নিতে পারেন। এ-সংক্রান্ত কলসেন্টার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু আছে। কলসেন্টারের নম্বর ০৯৬৪৩৭১৭১৭১। কলসেন্টারে ফোন করলে একজন কর কর্মকর্তা সমস্যার সমাধান করে দেবেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।