দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে: রিজভী
Published: 16th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে গরিমসি করছে দাবি করে। জাতি এখন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। শেখ হাসিনা ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে ওঁৎ পেতে আছে। দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, কতিপয় রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে দাবি জানাচ্ছে, তা দূরভিসন্ধিমূলক।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য এতো জীবন গেলো, সেই গণতন্ত্র ফেরাতে ভোটের জন্য চূড়ান্ত ডেডলাইন দিতে হবে এই সরকারকে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: সালাহউদ্দিন
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর ওপর হামলা হলো। হামলার ধরন দেখে স্পষ্ট—এটি পেশাদার শ্যুটারের কাজ। আমরা এটিকে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছি না।”
দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণার প্রেক্ষাপটে হাদির ওপর হামলার ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সব রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। “তারেক রহমানসহ সব রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি। এটি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
তিনি আরো বলেন, “কোনো আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তবে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ বাহিনী এবং জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ধরনের সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষাকে আমরা সর্বোচ্চ স্থানে রাখবো। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখা আমাদের অঙ্গীকার—এখানে কোনো আপস নেই।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “পতিত ফ্যাসিবাদকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই—এই ধরনের হামলা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। জনগণের ঐক্যের কাছে সব ষড়যন্ত্র পরাজিত হবে।”
ঢাকা/আলী/সাইফ