দেশে যত দিন ‘ডেভিলরা’ থাকবে, তত দিন যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’ চলবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার সকালে এক কর্ম অধিবেশন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক সভা হয়। সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

আজ জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসিদের কিছু প্রশ্ন ছিল। আমরা সেগুলোর জবাব দিয়েছি। আমাদের বড় আশা ছিল, দেশ থেকে দুর্নীতি কমাতে হবে। দুর্নীতি কমাতে না পারলে উন্নতি হবে না। দুর্নীতি আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা।’

এদিকে দুর্নীতি কমাতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আলোচনা হয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক। তবে পরিস্থিতির আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এ ছাড়া পুলিশের মারণাস্ত্র ও ছররা গুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে।

মো.

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ডিসিরা সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সদস্য বাড়ানোর কথা বলেছেন। তাঁরা নৌ পুলিশ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও শিল্প পুলিশে জনবল বাড়াতে বলেছেন। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের