এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর কোন পরীক্ষা কবে
Published: 20th, February 2025 GMT
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি (রুটিন) প্রকাশ করা হয়েছে। রুটিন অর্থাৎ কবে কখন কোন পরীক্ষা হবে, সেই সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার প্রকাশিত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী ২০২৫ সালের এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে।
এবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। নির্দিষ্ট দিনগুলোয় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ থেকে ১৮ মে।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ২৬ জুন১৭ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালের এসএসসির কোন পরীক্ষা কোনো দিন—১০ এপ্রিল: বাংলা প্রথম পত্র/ সহজ বাংলা প্রথম পত্র
১৫ এপ্রিল: ইংরেজি প্রথম পত্র
১৭ এপ্রিল: ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র
২০ এপ্রিল: গণিত
২২ এপ্রিল: ধর্ম (ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা)
২৩ এপ্রিল: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি
২৪ এপ্রিল: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান/ কৃষিশিক্ষা/ সংগীত/ আরবি/ সংস্কৃত/ পালি/ শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া/ চারু ও কারুকলা
২৭ এপ্রিল: পদার্থবিজ্ঞান/ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা/ ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
২৯ এপ্রিল: রসায়ন (তত্ত্বীয়)/ পৌরনীতি ও নাগরিকতা/ ব্যবসায় উদ্যোগ
৩০ এপ্রিল: ভূগোল ও পরিবেশ
৪ মে: বিজ্ঞান/উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়)
৬ মে: জীববিজ্ঞান/ অর্থনীতি
৭ মে: হিসাববিজ্ঞান
৮ মে: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
১৩ মে: বাংলা প্রথম ২য় পত্র/ সহজ বাংলা–২য় পত্র
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা রুটিন দেখুন এখানে।
আরও পড়ুনমাধ্যমিকের সংশোধিত ছুটির তালিকা, এসএসসির প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষার নতুন তারিখ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুন২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার সংশোধিত পাঠ্যসূচি, প্রশ্নের ধরন ও নম্বর বণ্টন প্রকাশ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুন২০২৭ সালের এসএসসির সিলেবাস প্রকাশ, নম্বর বিভাজন কীভাবে০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল র এসএসস ২০২৫ স ল র এসএসস র পর ক ষ র তত ত ব য় প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
সরকার-বিএনপি সমঝোতা অনিশ্চয়তা দূর করবে, আশা ইসলামী আন্দোলনের
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান উত্তেজনা কেটে যাবে, অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরি হবে বলে আশা করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে দুজনের বৈঠকের পরে দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে দলটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা কাজ করছিল। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করায় রাজনীতিতে একধরনের চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়।
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘লন্ডনের বৈঠকে তারেক রহমান ডিসেম্বর থেকে সরে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টাও শর্তসাপেক্ষে তা বিবেচনার কথা বলেছেন। নিজস্ব অবস্থানকে যৌক্তিক কারণে পুনর্বিবেচনা করার এ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। উভয় নেতাকে এ জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নীতিগত সমর্থন পাওয়া গেছে আজকের বৈঠক থেকে। এটা স্বৈরতন্ত্রমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথকে মসৃণ করবে।’
তবে বৈঠকের পরে দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। তারেক রহমান একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান মাথায় রেখেও এ কথা সত্য যে তারেক রহমান দেশের রাজনীতির একক প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাঁদের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হলেও আক্ষরিক অর্থে এটা দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে একজন রাজনৈতিক নেতার সংলাপ। এই সংলাপের পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের বারবার “যৌথ বিবৃতি” বলা বিস্ময়কর। একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রের যৌথ বিবৃতি প্রদান শোভনীয় নয়। একই সঙ্গে এককভাবে বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়াও শোভনীয় নয়।’