ছোটপর্দার অভিনেত্রী অহনা রহমানের সঙ্গে অভিনেতা শামীম হাসান সরকারের প্রেমের গুঞ্জন অনেক দিনের। এরপর গেল বছর আরেক অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টির শামীমের প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। অবশ্য বিষয়টি বন্ধুত্ব বলেই উড়িয়ে দেন তারা। এরই মধ্যে সেই গুঞ্জন উসকে দিলেন শামীম হাসান সরকার।

সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেন শামীম। সেখানে বর-কনে বেশে দেখা যায় শামীম-তানিয়াকে। ক্যাপশনহীন এরকম ছবি দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। নব দম্পতি হিসেবে অভিনন্দন জানাতে থাকেন তাদের। এমন অবস্থায় চর্চার লাগাম টানলেন শামীম নিজেই।

পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখলেন, অভিনন্দন এবং শুভ কামনা জানানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এটা আমাদের নতুন নাটকের শুটিংয়ের ছবি।

এদিকে অনেকে আঁচ করেছিলেন বিষয়টি। শামীমের মন্তব্যের পর মুখ খুলেছেন তারা। একজন লিখেছেন, আগেই বুঝেছিলাম, তাই বুদ্ধি করে অভিনন্দন জানাই নাই। আরও কয়েকজন এরকম মত প্রকাশ করেছেন। 

এর আগে অহনার সঙ্গেও সামাজিক মাধ্যমে বর-কনে বেশে ছবি দিয়েছিলেন শামীম। সেসময় বিভ্রান্ত হয়েছিলেন নেটাগরিকেরা। শোনা যায় অহনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গেছে অভিনেতার। এখন নাকি শুধু পর্দায় না, আড়ালেও মন দেওয়া নেওয়া করছেন শামীম-তানিয়া।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ম ম হ স ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গল টেস্টে ড্র বাংলাদেশের জন্য ‘মোরাল ভিক্টরি’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রের সফর বাংলাদেশ শুরু করেছে ড্র করে। ৪ পয়েন্ট বাংলাদেশের নামের পাশে যুক্ত হয়ে গেছে। অথচ সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গল টেস্টে ম্যাচ জেতার।

সেজন্য একটু হিসাব কষা, ঝুঁকি নেওয়া ও সাহসিকতা দেখাতে হতো। সেদিকে না গিয়ে বরং নিরাপদ ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। ফলাফল: ম্যাচ ড্র। যা শ্রীলঙ্কার জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও বাংলাদেশের জন্য উল্টো হওয়ার কথা—জয়ের সুযোগ হাতছাড়া! তবুও এই ড্র-টিকেই হাবিবুল বাশার ‘মোরাল ভিক্টরি’ বলছেন। কেন?

উত্তরটা তার মুখ থেকেই শুনুন, ‘‘তৃপ্তি তো ছিলই। আমার মনে হয় সন্তুষ্টির জায়গাও ছিল। আমার সন্তুষ্টির জায়গা হচ্ছে, এরকম উইকেটে আমরা ওদেরকে অলআউট করতে পেরেছি (প্রথম ইনিংসে)। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর শ্রীলঙ্কা যেভাবে শুরু করেছিল, ওরা যদি সাড়ে পাঁচশ বা ছয়শ করে ফেলত, উল্টো তখন আমরা চাপে পড়ে যেতাম। এরকম উইকেটে একটা দলকে অলআউট করাও বড় ব্যাপার। আমরা সেটা করতে পেরেছি, যেটা ভালো দিক। শেষের দিকে (দ্বিতীয় ইনিংসে) ৪ উইকেট নেওয়াও আমাদের জন্য মোরাল ভিক্টরি। এজন্য বলব, আমি সন্তুষ্ট এবং এই টেস্ট ম্যাচটা বাংলাদেশ ভালো খেলেছে।’’

আরো পড়ুন:

আগামী বছরে রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঘোষণা

বিশ্বকাপের টিকিট পেলো কানাডা

তবে শ্রীলঙ্কা ফল হওয়ার মতো উইকেট না বানানোয় অবাক হয়েছেন হাবিবুল, ‘‘আমার প্রত্যাশা ছিল, গলে ওরা স্পোর্টিং উইকেট বানাবে, যেখানে ফল আসতে পারে। যেহেতু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ, আমার মনে হয় সবাই চাইবে ঘরের মাঠে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সুযোগটা নিতে। এই উইকেটে যদি ছয় দিন খেলা হতো, তাহলে হয়তো ফল হতো। পাঁচ দিনে আসলে এরকম উইকেটে ফল আসা কঠিন।’’

শেষ দিনে বাংলাদেশ ১৮৭ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক ভাব ছিল না। বরং দেখে শুনে, স্বস্তিতে খেলার মানসিকতা ছিল। মুশফিকুর ৪৯ রানে আউট হলে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ বন্ধ থাকে। এরপর শান্তর সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিল দল। অথচ তখনও বাংলাদেশের লিড আড়াই শ’ পেরিয়ে। দেড় সেশন বাকি ছিল খেলা। আগেভাগে ডিক্লেয়ার করলে বোলাররা অন্তত বাড়তি ১৫-২০ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেতেন। কেন বাংলাদেশ এই সুযোগটি নিল না, সেটাই অবাক করছে অনেককে।

অন্তত ২০ ওভার আগে ডিক্লেয়ার করলে বাংলাদেশের পক্ষেই ফল আসত, জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হতো। হাবিবুলের কাছে এমনটা মনে হচ্ছে না, ‘‘শেষ দিনে ৪ উইকেট পাওয়ার পর আমাদের হয়তো মনে হয়েছে, বাংলাদেশ আগেভাগে ডিক্লেয়ার করলে জেতার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারত। আমার তা মনে হয়। কারণ পঞ্চম দিনে উইকেট ততটা ব্রেক করেনি। উইকেট ফ্ল্যাট ছিল সকাল থেকে—খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত যখন ব্যাটিং করছিল, তখন কিন্তু দেখা গেছে উইকেট একদম ফ্ল্যাট। সেখানে আসলে কত রানে ছেড়ে দেওয়া যায়, সেই ঝুঁকিটা নিলে কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারত।’’

‘‘ওই সময়ে শান্ত কিংবা মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে যেত, তাহলে আমরা চাপে পড়ে যেতাম। এখন হয়তো ভাবছি, সুযোগটা নিতে পারতাম। তারা চেষ্টা করেছে, আমার কাছে মনে হয়। আগে ডিক্লেয়ার করলেও খুব বেশি পরিবর্তন হতো বলে মনে হয় না,’’—যোগ করেন হাবিবুল। 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে যা বললেন শান্ত
  • গল টেস্টে ড্র বাংলাদেশের জন্য ‘মোরাল ভিক্টরি’