বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা জখম
Published: 23rd, February 2025 GMT
বন্দরে মানিক মিয়া (৫৮) নামে এক ঝাল মুড়ি বিক্রেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়েছে সন্ত্রাসী পিতা পুত্ররা। শুক্রবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫ টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের চর ধলেশ্বরী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী আহতকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় আহত ঝালমুড়ি বিক্রেতার স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন হামলাকারি পিতা ও পুত্র বিরুদ্ধে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
আহত ও এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে,গত শুক্রবার চর ধলেশ্বরী এলাকায় জব্বার মিয়ার বাড়ির সামনে দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
ওই সময় স্থানীয় ঝাল মুড়ি বিক্রেতা মানিক মিয়া উভয়কে ঝগড়াঝাটি না করার জন্য নিষেধ করলে ওই সময় বদমেজাজি সুমনসহ তার দুই বখাটে ছেলে ইব্রাহিম ও আসিফ ক্ষিপ্ত হয়ে ঝাল মুড়ি বিক্রেতাকে ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে এলো পাথারি ভাবে আঘাত করে পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে অভিযুক্তরা পুলিশ আসার খবর পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিয়ার পর নিজেদের কেন টার্গেট মনে করছে তুরস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে ইসরায়েল সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্ক ও সুওয়াইদার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে সুওয়াইদায় দ্রুজ মিলিশিয়া ও সুন্নি বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুজদের রক্ষা করতে এই হামলাগুলো চালানো জরুরি ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলার ফলে নতুন করে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তুরস্ককে একটি নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। আঙ্কারা এখন সিরিয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর তাদের কৌশলগত অবস্থান পুনরায় মূল্যায়ন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও সিরিয়ার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তুর্কি রাজনীতিবিদেরা নজিরবিহীন চাপের মধ্যে রয়েছেন।
দ্য নিউ আরবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুর্কি নিরাপত্তা বিশ্লেষক এরসান এরগুর ব্যাখ্যা করেছেন যে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা এখন তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভিত্তিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আঙ্কারা এখন আর সিরিয়ার ইস্যুকে কেবল একটি বৈদেশিক নীতির বিষয় হিসেবে দেখে না, বরং এটিকে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার বিষয় হিসেবে দেখে।’ তিনি আঞ্চলিক বিভাজন থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া এবং আবার তুরস্কে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে—এমন আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেন।
এরগুর বলেন, তুরস্কের কৌশলটি তার ‘সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক’ প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তুরস্কের এ প্রকল্পটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করে। তুরস্কের ভূরাজনৈতিক অবস্থান, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নেটওয়ার্কগুলো সঙ্গে গভীর যুক্ততার কারণে আঙ্কারা সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে চায়। এটি শুধু তার সীমান্ত রক্ষা করার জন্য নয়, বরং তার আশপাশে ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর উত্থান রোধ করার জন্যও।
ইসরায়েলি হামলার পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ১৬ জুলাই ২০২৫