বন্দরে মানিক মিয়া (৫৮) নামে এক ঝাল মুড়ি বিক্রেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে  রক্তাক্ত জখম  করে পালিয়েছে সন্ত্রাসী পিতা পুত্ররা। শুক্রবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) বিকেল  সাড়ে ৫ টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের চর ধলেশ্বরী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী আহতকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। 

এ ঘটনায় আহত ঝালমুড়ি বিক্রেতার স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন হামলাকারি পিতা ও পুত্র বিরুদ্ধে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

আহত ও এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে,গত শুক্রবার চর ধলেশ্বরী এলাকায় জব্বার মিয়ার বাড়ির সামনে দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।

ওই সময় স্থানীয় ঝাল মুড়ি বিক্রেতা মানিক মিয়া উভয়কে ঝগড়াঝাটি না  করার জন্য নিষেধ করলে ওই সময় বদমেজাজি সুমনসহ তার দুই বখাটে ছেলে ইব্রাহিম ও আসিফ ক্ষিপ্ত হয়ে ঝাল মুড়ি  বিক্রেতাকে  ধারালো  সুইচ গিয়ার দিয়ে এলো পাথারি ভাবে আঘাত  করে পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ 

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে অভিযুক্তরা পুলিশ আসার খবর পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

হিমাগারে কেজিপ্রতি আলুর ভাড়া সাড়ে ৫ টাকা

রাজশাহীতে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হিমাগার মালিকদের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সমঝোতায় বসে দুইপক্ষ আলুর ভাড়া কেজিপ্রতি সাড়ে ৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।

সোমবার (১৬ জুন) রাজশাহী আর্মি ক্যাম্পে দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তিন পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলে। এ বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সবাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে ভাড়া নির্ধারণ করে চুক্তি করে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, রাজশাহী জেলা আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আহাদ আলী, সহসভাপতি আলম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

পাম্পে গাড়ির চাপ, গণপরিবহনে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

সড়কে শিক্ষার্থীদের ব্যাঙ্গ চিত্র প্রদর্শন

বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, দুপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে আলুর ভাড়া নেয়া হবে কেজিপ্রতি সাড়ে ৫ টাকা। প্রতি কেজির জন্য শ্রমিক খরচ নেয়া যাবে ৫০ পয়সা। আগাম বুকিংয়ে যেসব আলু রাখা হয়েছে, সেগুলো আগের চুক্তি অনুযায়ীই ভাড়া দিতে হবে। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও কেজিপ্রতি ৫০ পয়সা শ্রমিক খরচ নেয়া যাবে।

প্রতি কেজি আলুর সংরক্ষণের জন্য আগে কৃষকদের ৪ টাকা ভাড়া দিতে হতো। এবার আলু ওঠার সময় ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আলু বের করতে গেলে কেজিপ্রতি ৮ টাকা করে নিতে শুরু করে হিমাগারগুলো। এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ