Samakal:
2025-05-01@00:41:57 GMT

বিয়ের পাঁচ ছবিতে মেহজাবীন-রাজীব

Published: 24th, February 2025 GMT

বিয়ের পাঁচ ছবিতে মেহজাবীন-রাজীব

১৩ বছর প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। প্রযোজক ও পরিচালক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। সোমবার বিয়ের ছবি প্রকাশ করেছেন মেহজাবীন নিজেই।

বিয়ের ছবি পোস্ট করে আবেগঘন মেহজাবীন ফেসবুকে লিখেছেন, ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটেছিল। ১৩ বছর পর সম্পর্কটা বিয়েতে গড়াল। ছবি: ফেসবুক

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে মেহজাবীন ও আদনানের আকদ সম্পন্ন হয়। ছবি: ফেসবুক

মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীব প্রেম করছেন—সাত বছর ধরে বিনোদন অঙ্গনে অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কখনো মুখ খোলেননি তাঁরা। বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ব্যক্তিগত জীবনের এ প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যেতেন তাঁরা। ছবি: ফেসবুক

একটা সময় দুজনকে দেশে ও দেশের বাইরে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। ঘোরাঘুরির সময় তোলা স্থিরচিত্র হাতবদল হয়ে ফেসবুকেও পোস্ট হয়েছে। কখনো নিজেরা নিজেদের ইনস্টাগ্রামে রোমান্টিক মুহূর্তের স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। ছবি: ফেসবুক

গত বছরের মাঝামাঝি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রাজীব তাঁর জীবনের সেরা পার্ট বলে উল্লেখ করেন মেহজাবীনকে। সেদিন রাজীব বলেছিলেন, ‘তাকে (মেহজাবীন) আমি যতটা জানতে পেরেছি তাতে মনে হয়, এর চেয়ে ভালো সাপোর্টিভ কেউ হতে পারত না। তার চেয়ে ভালো কারও সঙ্গে পরিচয়ও হতে পারত না।’ ছবি: ফেসবুক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র ম হজ ব ন ফ সব ক আদন ন

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ