সিদ্ধিরগঞ্জে আমরা মোহামেডানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হাবিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন
Published: 24th, February 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় আমরা মোহমেডানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী তাঁর পরিবার ও কেন্দ্রীয় আমরা মোহা মেডানের পক্ষ থেকে কর্মসূচিগুলো পালন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- কুরআন খতম, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও মরহুমের কবর জিয়ারত।
সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আইলপাড়া পাঠানটুলি মোড়ে কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সাধারন সম্পাদক ডি এইচ বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরন করা হয়।
দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়া বাঘমারা এলাকায় কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের যুগ্ম-সম্পাদক আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে কোরআন খতম, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরন করা হয়।
বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আমবাগ এলাকায় আমরা মোহামেডান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরন করা হয়।
পরে পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সকল সদস্যদের সাথে নিয়ে মরহুমের কবর জিয়ারত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের প্রধান উপদেষ্টা মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের সহ ধর্মিনী শিরীন হাবিব।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সভাপতি খোরশেদ আলম নাসির, যুগ্ম-সম্পাদক আকবর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ মিলন, আলী আকবর খাঁন, জামাল প্রধান, শহীদুল ইসলাম ভূঞা, তোফাজ্জল হোসেন, শিপনসহ আরো অনেকে।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের সহ ধর্মিনী শিরীন হাবিব বলেন, আমার স্বামী মরহুম হাবিবুর রহমান একজন ভালো মানুষ ছিলেন সে সব সময় গরীব দুঃখী মানুষের কথা ভাবতেন, কিভাবে মানুষের সেবা করা যায় সেই চিন্তা করতেন। আপনারা আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন আল্লাহতালা তাকে যেন জান্নাতবাসী করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিব আপনাদের এলাকা উন্নয়নে জন্য অনেক ভূমিকা পালন করেছে। আমার মরহুম শশুর এই এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য একটি চক্ষু হাসপাতাল ও ডায়াবেটিস চিকিৎসা কেন্দ্র গঠন করেছিলেন।
সেই চিকিৎসা কেন্দ্রটি অনেক দিন যাবৎ বন্ধ আছে, আমরা আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে চক্ষু হাসপাতাল ও ডায়াবেটিস চিকিৎসা কেন্দ্রটি পূনরায় চালু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।
আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই, আপনারা আমার পাশে থাকলে অতি দ্রুত এই সেবা কেন্দ্রটি আমরা চালু করতে পারবো। সেবা কেন্দ্রটি চালু থাকলে এই এলাকায় অসহায়,গরীব মানুষ গুলো সেবা পবে। আপনারা আমার ও আমার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ মরহ ম হ ব ব র রহম ন হ ব ব র রহম ন হ ব ব ক ন দ র য় আমর স দ ধ রগঞ জ পর ব র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
আসামি না হয়েও স্বেচ্ছায় কারাগারে যাওয়া সেই যুবক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে মাদকের একটি মামলায় আসামি সেজে আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যাওয়া এক যুবককে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম মো. রাকিব। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রকৃত আসামি মো. সুমনের হয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন রাকিব। আদালতের আদেশে ১ জুলাই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে আটক রাকিবকে জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আসামিকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট নগরের আকবর শাহ থানার কৈবল্যধাম এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে অভিযান চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে র্যাব, যার মূল্য ৪ লাখ টাকা। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গাড়িচালক রাহাত ইসলামকে। পালিয়ে যান চালকের সহকারী (হেলপার) মো. সুমন। এ ঘটনায় র্যাব কর্মকর্তা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এতে রাহাত ইসলাম ও মো. সুমনকে আসামি করা হয়।
আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে পলাতক আসামি সুমনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই মধ্যে সুমনের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। বিষয়টি জানতে পেরে সুমন নিজেকে কারামুক্ত রাখতে তাঁর পরিবর্তে নোয়াখালীর রাকিবকে আদালতে আত্মসমর্পণ করায় ১ জুলাই। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা শুনানি শেষে আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সুমনের হয়ে রাকিব আত্মসমর্পণের সময় তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ওয়াহিদ মুরাদ।
আদালতে একজনের পরিবর্তে আরেকজন আত্মসমর্পণের বিষয়টি ধরা না পড়লেও কারাগারে গিয়ে ধরা পড়ে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজে (তথ্যভান্ডার) ভোটারদের আঙুলের ছাপ সংরক্ষিত আছে। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আঙুলের ছাপে ধরা পড়েছে অনেক বন্দীর আসল পরিচয়। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের জুলাই পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আসা ১৬ জনের আঙুলের ছাপে শনাক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আদালত থেকে কারাগারে আসা প্রত্যেক নতুন আসামির আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। সেখানে আসামির জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা আসল পরিচয় উঠে আসে। ইকবাল হোসেন আরও বলেন, ‘সুমনের হয়ে কারাগারে আসা রাকিব স্বীকার করেছেন তিনি মাদক মামলার প্রকৃত আসামি নন। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি সুমন সেজেছেন। তাঁকে বলা হয়েছে, দ্রুত কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হবে। তাই তিনি রাজি হয়েছেন। বিষয়টি চিঠি দিয়ে আদালতকে জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুনচট্টগ্রামে ‘আয়নাবাজি’, ধরা পড়েছে আঙুলের ছাপে০৮ নভেম্বর ২০২৩কারাগার থেকে চিঠি পাওয়ার পর মামলা করার নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান। একই সঙ্গে আসামিকে আত্মসমর্পণকারী আইনজীবী ওয়াহিদ মুরাদের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার আকবর শাহ থানার জিআরও সাইদুর রহমান বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় মো. রাকিব ও মো. সুমনকে আসামি করা হয়। সুমন এখনো পলাতক।