চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কাউকে চিকিৎসকের স্বীকৃতি না দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই আন্দোলন চলছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কাজে যোগ না দেওয়ায় রোগীদের সেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের স্থায়ী চিকিৎসকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পাঁচ দফা দাবিতে দেশের অন্য মেডিকেল কলেজগুলোর মতো গত রোববার সকাল আটটা থেকে টানা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে রোববার থেকে ক্লাস বর্জন কর্মসূচিও চলছে চমেকের শিক্ষার্থীদের।

চমেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন বলেন, তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। আজ দুপুরে এ–বিষয়ক একটি রিটের আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে। ওই আদেশের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত ঘটেছে। সাধারণত ওয়ার্ডগুলোয় স্থায়ী চিকিৎসকদের পাশাপাশি ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। রোগীর কাছাকাছি থাকেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। কিন্তু রোগীরা এখন ডাকাডাকি করেও সহজে চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছেন না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসকদ র

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রোপচার সকালে

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের হৃদ্‌যন্ত্রে আগামীকাল শনিবার সকালে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার (ওপেন হার্ট সার্জারি) করা হবে। সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তিনি দলের আমিরের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জানান, দলের আমির শফিকুর রহমানের আর্টারিতে (ধমনি) ছোট-বড় মোট ৫টি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৩টি ব্লক বড় (প্রায় ৮৬ শতাংশ)। বাকি ২টি ব্লকের একটি ৬০, অন্যটি ৬৭ শতাংশ। গত ৩০ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হলে এই ব্লকগুলো শনাক্ত হয়। ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি দুবার মঞ্চে ঢলে পড়েন। এরপর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, জামায়াত আমিরের পরিবার ও দলের পরামর্শ ছিল দেশের বাইরে অস্ত্রোপচারের। কিন্তু তাতে আমির সম্মত হননি। তিনি দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা রেখেছেন।

জামায়াতের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, সুচিকিৎসার সুবিধার্থে দর্শনার্থীদের হাসপাতালে ভিড় না করতে। সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রোপচার সকালে
  • ড্যাবের নির্বাচন ৯ আগস্ট, দুটি প্যানেলই শক্ত