সুপ্রিম কোর্টের সামনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিক্ষোভ মিছিল
Published: 25th, February 2025 GMT
পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে হাইকোর্ট অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট ফটকে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
মেডিকেল সহকারীরা 'ডাক্তার' উপাধি ব্যবহার করার চেষ্টা করছে, এমন অভিযোগে কয়েকশ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
তাদের অভিযোগ, ২০১৩ সালে মেডিকেল সহকারীরা 'ডাক্তার' উপাধি ব্যবহারের অধিকার চেয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ১১ বছর ধরে মামলাটি বিচারাধীন। এরপরও আইনি নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে মেডিকেল সহকারীরা অবৈধভাবে এই উপাধি ব্যবহার করছেন।
এই রিটের ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্ট আদেশ দেবেন বলে জানা গেছে।
তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, 'ডাক্তার' পদবি শুধু এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য সীমিত রাখা। দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং বিসিএসের চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩৪ বছর করা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের হৃদ্যন্ত্রে অস্ত্রোপচার সকালে
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের হৃদ্যন্ত্রে আগামীকাল শনিবার সকালে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার (ওপেন হার্ট সার্জারি) করা হবে। সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তিনি দলের আমিরের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জানান, দলের আমির শফিকুর রহমানের আর্টারিতে (ধমনি) ছোট-বড় মোট ৫টি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৩টি ব্লক বড় (প্রায় ৮৬ শতাংশ)। বাকি ২টি ব্লকের একটি ৬০, অন্যটি ৬৭ শতাংশ। গত ৩০ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হলে এই ব্লকগুলো শনাক্ত হয়। ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি দুবার মঞ্চে ঢলে পড়েন। এরপর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, জামায়াত আমিরের পরিবার ও দলের পরামর্শ ছিল দেশের বাইরে অস্ত্রোপচারের। কিন্তু তাতে আমির সম্মত হননি। তিনি দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা রেখেছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, সুচিকিৎসার সুবিধার্থে দর্শনার্থীদের হাসপাতালে ভিড় না করতে। সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়।