অতিরিক্ত আইজিসহ পুলিশের ৮২ কর্মকর্তা ওএসডি
Published: 25th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা এক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলীম মাহমুদ এবং ১৩ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ৪৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১৯ জন পুলিশ সুপার পদের কর্মকর্তা রয়েছেন।
আজ এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক তিনটি আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে ওএসডির কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানায়, এই ৮২ জন কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওএসডি মূলত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কার্যত দায়িত্বহীন করে দেওয়া। সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হলে তা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই ধরা হয়। যদিও সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের অংশ।
গত কয়েক বছরে পুলিশের উচ্চপর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদল লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষত, সরকারের বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্তের আলোকে একাধিকবার পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওএসডি বা বদলি করা হয়েছে। তবে একসঙ্গে ৮২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করার ঘটনা নজিরবিহীন।
এএ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় ফেরার পথে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যাত্রী নিখোঁজ
মুন্সিগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে এক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে জেলার লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যাত্রীর নাম লোকমান হোসেন (৩৭)। তিনি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল রাতে সপরিবার ফারহান-৩ নামের একটি লঞ্চে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন শেষে গতকাল রাতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে লোকমান ঢাকার কর্মস্থলে ফিরছিলেন। রাত সোয়া তিনটার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে থামে। ওই সময় লোকমান লঞ্চঘাটের পন্টুনে নেমে ঘোরাঘুরি করেন। পরে পন্টুন থেকে লঞ্চে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত তিনি নদীতে পড়ে যান। তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নৌপুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আজ সকাল ৯টা থেকে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালান জেলার ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ ডুবুরি দলের সদস্যরা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।
এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকেই আমরা নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে কাজ শুরু করি। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে তাঁর সন্ধানে পাওয়া যায়নি। তবে ওই ব্যক্তির সন্ধান চলছে।’