৯ দিন পর খুলল ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
Published: 27th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম ৯ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। আজ সকাল আটটা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসগুলো। তবে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। ছাত্রাবাসে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের উত্তেজনার জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কলেজের সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
আজ বেলা একটার দিকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী ব্যাগ ও জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরছেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজে উত্তেজনার জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই দিন একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কথা হয় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসানের সঙ্গে। বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে ফিরছিলেন তাঁরা। তাঁরা জানান, ‘সামান্য বিষয় নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝি থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়ে কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধ ছিল। আমরা চাই না এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আর তৈরি হোক। আমরা ক্যাম্পাসে ফিরছি, শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষাজীবন শেষ করতে চাই। ’
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ৯দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার খোলা হয়েছে। খোলার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।