এই প্রথম সাঁতারে তিন বিদেশি কোচ আনা হচ্ছে
Published: 27th, February 2025 GMT
সব ঠিক থাকলে দ্রুতই তিন বিদেশি কোচ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সাঁতার। তিনজনের একজন সাঁতারের মূল ইভেন্টগুলোর জন্য, বাকি দুজন ওয়াটারপলো ও ডাইভিংয়ের জন্য।
বাংলাদেশের সাঁতারে অতীতে কখনো ওয়াটারপলো ও ডাইভিংয়ে বিদেশি কোচ আনা হয়নি। একসঙ্গে তিন বিদেশি কোচও কখনো ছিল না। প্রথমবারের মতো সব ধরনের সাঁতারে বিদেশি কোচ আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বুধবার সাঁতার ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সভায়।
এ প্রসঙ্গে সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ফেডারেশনের সভায় তিনজন বিদেশি কোচ আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাঁতার, ওয়াটারপলো, ডাইভিংয়ে কোচ আনছি। তিনজন বিদেশি কোচ এনে আমরা সাঁতারুদের অনুশীলনে রাখব। সাঁতারের মূল ইভেন্টগুলোর কোচ আগে আনা হবে। একই সময়ে ওয়াটারপলো ও ডাইভিং কোচ পেলেও নিয়ে আসব। এক মাসের মধ্যে কোচ পেলেও নিয়ে নেব। আজ থেকেই দ্রুত খোঁজা শুরু করছি। কোরিয়া আর চীনের কোচের দিকে নজর বেশি দেব।’
বুধবার এসএ গেমসের পরবর্তী আসরের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। পাকিস্তানের তিন শহরে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের আসর ২০২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি জানুয়ারি শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সাঁতার ফেডারেশন মনে করছে, গেমসের জন্য প্রস্তুত হতে খুব বেশি সময় নেই হাতে। দ্রুত মাঠে নামতে হবে। সেই তাগিদ থেকে রোজার পর জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনসেমিফাইনালে না গিয়েও যেভাবে অনেক অর্জন পাকিস্তানের১১ মিনিট আগেদেশের সাঁতারে সিনিয়র-জুনিয়র দুটি টুর্নামেন্ট হয় বছরে। আরেকটি টুর্নামেন্ট বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন সম্পাদক। তবে সেটা নির্ভর করবে পৃষ্ঠপোষক পাওয়ার ওপর।
নতুন কমিটির অধীনে প্রতিভা অন্বেষণের সিদ্ধান্ত হয়েছে জুলাই থেকে। বেশি উচ্চতার খেলোয়াড় নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে এবারের অন্বেষণ–কার্যক্রমে। বয়সভিত্তিক সাঁতার আগে জুন-জুলাইয়ে হতো। এখন সেটি মে মাসে আয়োজনের পরিককল্পনা নিয়েছে সাঁতার ফেডারেশন।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ–পাকিস্তান কেউই খালি হাতে ফিরল না৪৯ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স দ ধ ন ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।