পুলিশের পায়ের ওপর মোটরসাইকেল চালিয়ে পালাল যুবক
Published: 28th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহে উল্টোপথে যেতে বাধা দেওয়ায় নূরুজ্জামান নামে এক পুলিশ সার্জেন্টের পায়ের ওপর মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে গেছে এক যুবক। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সার্জেন্ট নূরুজ্জামান।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর পুরাতন গুদারাঘাট এসকে হাসপাতাল সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত সার্জেন্ট নূরুজ্জামানকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়।
আহত সার্জেন্ট নূরুজ্জামান ময়মনসিংহ ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট পরিদশর্ক আবু নাসের মোহাম্মদ জহির। তিনি বলেন, উল্টোপথে যেতে বাধা দেওয়ায় অজ্ঞাতপরিচয় এক চালক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আহত নূরুজ্জামান প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় গেছেন এবং সুস্থ আছেন। তবে ঘটনার সময় ভেবেছিলাম তিনি বুকে হয়তো আঘাত পেয়েছেন, কিন্তু পরবর্তীতে জানা গেছে তিনি পায়ে আঘাত পেয়ে ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন।
ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আবু নাসের মোহাম্মদ জহির জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।