ঢাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পতাকা উত্তোলন
Published: 2nd, March 2025 GMT
জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনা কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
রবিবার (২ মার্চ) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাবি শাখার সমন্বয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং ঢাবি সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। এ সময় কেন্দ্রীয় ও ঢাবি সংসদের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির সভায় গিয়ে আহত ঢাবির সাবেক শিক্ষকের মৃত্যু
‘দায় ও দরদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’
ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ কার্যকর করতে হবে। আমরা দেখেছি ক্যাম্পাসগুলোতে দখলদারিত্বের রাজনীতি হতে দেখেছি। দখলদারিত্বের রাজনীতি নয়, আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য রাজনীতি করতে চাই। আমাদের ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের পালস বুঝে রাজনীতি করবে।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালন উপলক্ষে আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করি।”
তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নতুন ধারার ছাত্র রাজনীতি করবে, যা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়বান্ধব। নতুন বাংলাদেশে আমাদের সংগঠন কাজ করে যাবে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণাভিত্তিক হয়ে ওঠে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুবলারচরে পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে দুবলার চরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাসপূজা ও পুণ্যস্নান শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বাগেরহাট জেলার চাঁদপাই রেঞ্জ ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে বন বিভাগের স্কট টিমের সঙ্গে পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
বন বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের মেলা আয়োজন করা হবে না। রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরো পড়ুন:
পালকি চড়ে পূজা এলেন, বরণ করলেন চঞ্চল-নিশো
১১০০ কোটি টাকা বাজেট: আইটেম কন্যা পূজার পারিশ্রমিক কত?
সুন্দরবনের পরিবেশ, বন্যপ্রাণী এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বিজিবির যৌথ টহল দল বনে মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে হরিণ শিকার ও অবৈধ প্রবেশ রোধে বনবিভাগ এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আজ সকাল ৮টায় চাঁদপাই ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে পুণ্যার্থীরা স্কট সহযোগে দুবলারচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। এই প্রথমবার স্কট সহযোগে যাত্রা শুরু হলো। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কেউ যেন বনে ঢুকে হরিণ শিকারের সুযোগ না পায়।”
বন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তীর্থযাত্রীদের শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই নৌযান চলাচল করতে হবে এবং নির্ধারিত চেকপোস্ট ছাড়া কোথাও নোঙর করা যাবে না। প্রতিটি নৌযানে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া রাখা বাধ্যতামূলক। তীর্থযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংযুক্ত করে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অনুমতিপত্রে নির্ধারিত রুট ও সিলমোহর থাকতে হবে এবং প্রতিটি নৌযানকে আলোরকোল কন্ট্রোল রুমে রিপোর্ট করতে হবে।
প্রতিবছর রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো তীর্থযাত্রী দুবলারচরে সমবেত হন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবছরও বন বিভাগ কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ