তরুণ আলেম প্রজন্ম ২৪-এর কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাবনা মোতাবেক সংগঠনটির ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়েছে।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। নির্বাহী কমিটিতে এহসানুল হককে সভাপতি ও হুজাইফা ইবনে ওমরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন জামিল সিদ্দিকী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদানকে সমুন্নত রাখতে অভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে বেগবান করতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জুলাই অভ্যুত্থানের অংশীদার আলেম-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন তরুণ আলেম প্রজন্ম-২৪ গঠিত হয়। পরবর্তীতে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে একটি কার্যকরী পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাহী পরিষদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র যকর স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এইচআরসিবিএম

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা এক গভীর সংকটে রূপ নিয়েছে বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম)। সংগঠনটির হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৯০ জন সংখ্যালঘু নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে হত্যার শিকার হয়েছেন, আবার অনেকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরসিবিএম।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করে এইচআরসিবিএম এ কথা বলেছে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইচআরসিবিএম বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক লাকী বাছাড় এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লাকী বাছাড়। তাতে তিনি বলেন, ২০২৫ সাল বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সংখ্যালঘুরা হামলা, লুটপাট, মব সহিংসতার শিকার হয়েছেন। তাঁদের বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে, নারী নির্যাতন হয়েছে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভূমি দখল হয়েছে। হত্যা, মিথ্যা মামলা, উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। এসব অপরাধে জড়িতদের বিচার হয়নি সেভাবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগ তৈরি করছে।

এইচআরসিবিএমের তথ্যমতে, শুধু ডিসেম্বর মাসের প্রথম ৯ দিনে দেশে ৯ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৯০ জন সংখ্যালঘু নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বা রহস্যজনকভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

সংগঠনটি জানায়, তারা গত এক বছর বিভিন্ন সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনায় জরুরি মনিটরিং সেল সক্রিয় করেছে। মাঠপর্যায়ে তথ্য যাচাই ও স্বাধীন প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের
  • বাড়ল স্বর্ণের দাম, শুক্রবার থেকে কার্যকর
  • টানা ১২ বছর ধরে সভাপতি, বিধি ভেঙে আবারও প্রার্থী
  • সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এইচআরসিবিএম
  • মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি ব্লাস্টের