বেক্সিমকোর তিন কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা নেই
Published: 4th, March 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) করা পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে স্বতন্ত্র ওই পরিচালকদের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বিএসইসির আইনজীবী।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়। বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মায় ৯ জন এবং শাইনপুকুর সিরামিকসে ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।
আইনজীবীর তথ্যমতে, বিএসইসির ওই নিয়োগ আদেশের বৈধতা নিয়ে তিন কোম্পানির পক্ষে পৃথক তিনটি রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। পাশাপাশি তিনটি প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত আদেশের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়। হাইকোর্টের পৃথক আদেশের বিরুদ্ধে বিএসইসি পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল করে, যার ওপর আজ শুনানি হয়।
আদালতে বিএসইসির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো.
তিনটি প্রতিষ্ঠানে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ তিন সপ্তাহের মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান বিএসইসির আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আপিল বিভাগ এ-সংক্রান্ত রুল হাইকোর্টে ১৯ মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। ফলে স্বতন্ত্র ওই পরিচালকদের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা নেই।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবু সাঈদ হত্যা: ৬ আগস্ট অভিযোগ গঠনের আদেশ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আরো পড়ুন:
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে
এর আগে, রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সব পক্ষের শুনানি শেষ হয়। এরপর মোট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
ট্রাইব্যুনালে আজ পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সরকারি খরচে নিয়োগ পাওয়া চার আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচ আসামির পক্ষে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম।
বুধবার (২৯ জুলাই) তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। এর মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান। এ তিনজনেরই অব্যাহতি দাবি করেন আইনজীবীরা।
এদিন সকালে প্রিজন ভ্যানে করে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুলসহ ছয়জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে দ্বিতীয় দিনের আসামিপক্ষের অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) প্রসিকিউশন সব আসামির বিচার শুরুর আবেদন জানায়।
চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, “আবু সাঈদকে উপাচার্যসহ চারজনের নির্দেশে হত্যা করা হয়। কাজেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”
এ বিষয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেন, “পলাতক ২৪ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তারপরও তারা হাজির হননি। ট্রাইব্যুনাল ওই ২৪ আসামিকে পলাতক ঘোষণা করে বিচারকাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে এই ২৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রকে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এই চার আইনজীবীর প্রত্যেকে ছয়জন আসামির পক্ষে কাজ করবেন।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী