ওসাকা ফেস্টিভ্যালে মেহজাবীনের ‘সাবা’
Published: 6th, March 2025 GMT
জাপানের ২০তম ওসাকা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে ‘সাবা’। ছবির পরিচালক মাকসুদ হোসাইন বলেন, ‘ওসাকায় সিনেমার তিনটি প্রদর্শনী হবে। উৎসবে আমি অংশগ্রহণ করব।’ উৎসব শুরু হবে ১৪ মার্চ, চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত।
বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের বার্লিনাল ট্যালেন্টসে অংশ নিয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন মাকসুদ হোসাইন। এবার জাপানের উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
এই পরিচালক বলেন, ‘“সাবা” প্রদর্শনের পাশাপাশি উৎসবে আমাকে নিয়ে একটি সিম্পোজিয়াম বা বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আমার সিনেমার ক্যারিয়ার, পরিচালনায় আসা, “সাবা” সিনেমা নির্মাণের জার্নিসহ চলচ্চিত্রের নানা প্রসঙ্গে আলোচনা হবে।’
‘সাবা’র মুক্তির খবরও দিলেন পরিচালক। জানালেন, আগামী জুনে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান তাঁরা। তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাদের সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে সরে আসি। ভেবেছিলাম, দুই ঈদের মাঝামাঝি সময়ে দেব। সেটাও হয়তো সম্ভব হবে না। আমরা জুনের শেষ সপ্তাহ বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সিনেমাটি রিলিজ দিতে চাই।’
‘সাবা’র গল্পের কেন্দ্রে আছে দুই যুগ আগে ঘটা একটি সড়ক দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয় ১২ বছরের এক কিশোরী ও তার মা।
আরও পড়ুনসুইডেনে যাচ্ছে ‘সাবা’, দেশে কবে আসছে০৯ জানুয়ারি ২০২৫কিশোরীটি সেই ঘটনায় মানসিকভাবে আঘাত পায় আর মায়ের সঙ্গী হয় হুইলচেয়ার। দুর্ঘটনা-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েই এগিয়ে যাবে গল্প। সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী আর মেয়ে হয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি চরিত্রে রয়েছেন মোস্তফা মন্ওয়ার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।