যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে প্রায় দেড় ঘণ্টা সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়ক অবরোধ করেছেন টেম্পোচালকেরা (মাহিন্দ্র)। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়কে এলোপাতাড়ি গাড়ি রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা। সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায় টেম্পোচালকদের।

অবরোধের কারণে তীব্র যানজট দেখা দেয় প্রধান সড়কটিতে। সড়কটির দুই পাশে বাস, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মিনি-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। একপর্যায়ে যানজট একদিকে জিইসি মোড় এবং অন্যদিকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত ছাপিয়ে যায়। এতে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। অবরোধের ভোগান্তিতে পড়ে অনেক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন।

আড়াআড়িভাবে একাধিক টেম্পো সড়কের মাঝখানে রেখে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় টেম্পোচালকদের। তাঁরা টেম্পোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ মামলার নামে চালকদের হয়রানি করছে।

অবরোধ শুরু হওয়ার পর পুলিশ বিক্ষুব্ধ চালকদের সড়ক থেকে উঠে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় অনুরোধ জানায়। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা সড়ক ছেড়ে চলে গেলে যান চলাচল শুরু হয়। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সোলাইমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যানজট নিরসনে অবৈধ পার্কিংসহ নানা অপরাধে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে মাহিন্দ্রচালকেরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে আমরা বুঝিয়ে তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে’।

রমজান মাসে যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম নগরে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানের সময় অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ নানা অভিযোগে মাহিন্দ্র, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ লকদ র য নজট অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সোনাপুর-নোবিপ্রবি সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণে অংশীজন সভা

নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গামী (নোবিপ্রবি) সড়কটি বাংলাবাজার পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ বিষয়ে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে নোবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রোসয়েল ফাউন্ডেশন কনসালটেন্ট এর আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজিদ হোছাইন চৌধুরী ও নোবিপ্রবি প্রধান প্রকৌশলী মো: জামাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবির পুকুরে ছাত্র-ছাত্রীদের গোসলের ছবি ভাইরাল, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেছে নোবিপ্রবি

এছাড়াও নোয়াখালী জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, নোয়াখালী পৌরসভা, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, উপকূলীয় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, নোয়াখালী সদর/সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, নোয়াখালী সদর/সুবর্ণচর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সোনাপুর, নোয়াখালী প্রেসক্লাব, সোনাপুর পৌরবাজার কমিটি, সোনাপুর পৌর সুপার মার্কেট পরিচালনা কমিটি এবং প্রোসয়েল ফাউন্ডেশন কনসালট্যান্ট এর কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা বাসগুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। ফলে এ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা যেন এ সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করতে পারি, তার জন্য আপনাদের সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “এই সড়ক চার লেনে উন্নীত করার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দিক থেকে যতটুকু সহযোগিতা লাগে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আপনাদের সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।”

সভায় সোনাপুর থেকে নোবিপ্রবি (বাংলাবাজার) সড়কাংশ চার লেনে উন্নীতকরণসহ বাংলাবাজার-সুবর্ণচর উপজেলা হেডকোয়ার্টার সড়ক (জেড-১৪৫১) যথাযথ মানে উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি’র এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নে মতামত প্রদান করেন বক্তারা। 

এছাড়া বক্তারা ওই সড়ক চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন এবং নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়কটি নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বাধাগ্রস্ত হবেনা বলে জানানো হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রৌমারীর সড়কটি কি এমন বেহাল থাকবে
  • সোনাপুর-নোবিপ্রবি সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণে অংশীজন সভা
  • ‘মরণ রাস্তার মোড়ে’ সড়ক দুর্ঘটনা, বিক্ষোভ
  • ২৪ কিলোমিটারের দুঃখ দুই উপজেলাবাসীর