সতীর্থদের সঙ্গে লিওনেল মেসির সম্পর্ক বরাবরই উষ্ণ। সতীর্থদেরও বিভিন্ন সময় মেসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায়। কিন্তু সেই মেসিই নাকি জাতীয় দল ও ক্লাবের এক সতীর্থের সঙ্গে কথা বলেননি তিন মাস। মেসির সেই সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদেস। চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচকে ঘিরে তৈরি হওয়া সমস্যার কারণে মূলত কথা বন্ধ ছিল দুজনের।

মেসি ও পারেদেস একসঙ্গে জাতীয় দল আর্জেন্টিনার পাশাপাশি পিএসজিতেও জুটি বেঁধে খেলেছেন। তবে কথা না বলার ঘটনাটি ঘটেছে মেসি যখন বার্সেলোনায় এবং পারেদেস যখন পিএসজিতে ছিলেন তখন।

২০২১ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ের প্রথম লেগে বার্সাকে ৪-১ গোলে হারায় পিএসজি। এরপর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ ড্র হয় ১-১ গোলে। সে ম্যাচে পারেদেসের করা একটি মন্তব্য এসেছিল মেসির কানে এবং সেই মন্তব্য শুনে সতীর্থকে ভুল বুঝেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সম্প্রতি মেসির সঙ্গে ঘটা সেই ঘটনার খোলাসা করেছেন পারেদেস নিজেই।

আরও পড়ুনমেসির অনুপস্থিতি কি আর্জেন্টিনার জন্য বিপদের আগাম সংকেত ০৭ মার্চ ২০২৫

এখন এএস রোমায় খেলা এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আমরা সে সময় কথা না বলে তিন মাস কাটিয়েছিলাম। খুবই বাজে সময় ছিল সেটি। আমি পরের দিনই তাকে বার্তা দিই, ১৫ দিন পর আবার বার্তা দিই। আমি তাকে বলি, “এটা তোমাকে নিয়ে ছিল না। বিষয়টি মোটেই আঘাত করার জন্য ছিল না।” সে কোনো উত্তর দেয়নি। তিন মাস সে কোনো উত্তর দেয়নি।’

উত্তর না দিয়ে তিন মাস অপেক্ষায় রাখার পর কীভাবে মেসির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন পারেদেস, ‘এরপর কোপা আমেরিকার আগে জুন মাসে প্রস্তুতির জন্য আমরা একত্র হই। আমি যখন সেখানে পৌঁছে ভাবলাম, “এখন আমাকে দেখতে হবে, সে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়।” এরপর সকালে ব্রাশ করার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি আমার দিকে পানির বোতল ছুড়ে দিয়ে বললেন, “এত সকালে তুমি কী করছ।” এটুকুই। এর পর থেকে আমাদের এখনো খুবই ভালো সম্পর্ক।’

আরও পড়ুনমেসিকে পেনাল্টি নেওয়া শিখিয়েছিলেন নেইমার২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এই ঘটনার পর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মেসি-পারেদেস। পিএসজিতে একসঙ্গে খেলে একাধিক শিরোপা জিতেছেন দুজন। আর আর্জেন্টিনার হয়ে একসঙ্গে জিতেছেন ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে

আগামী ২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে। সভায় অনুমোদন হলে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ শুক্রবার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের সভার এ তারিখ নির্ধারণের তথ্য প্রকাশ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ পর্ষদের বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে বিশেষত টাকা–ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে  জটিলতা তৈরি হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।

সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭৬ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ চেয়েছে। বাড়তি ঋণ যোগ হলে মোট দাঁড়াবে ৫৪০ কোটি ডলার। বিবৃতিতে বিনিময় হার, রাজস্ব আদায়, ব্যাংক খাতসহ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এক মাস সময় বাড়ালেন ট্রাইব্যুনাল
  • কেন এবার একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে ক্ষিরশাপাতি, আম্রপালি, ল্যাংড়া
  • শরীরের পাঁচ থেকে সাতটি অঙ্গ একসঙ্গে ব্যথা হয় যে কারণে
  • বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
  • ফেনীতে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ 
  • আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
  • আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩ জুন, এরপর মিলতে পারে দুই কিস্তি অর্থ
  • এবার বাগ্‌দানের কথা নিজেই জানালেন ডুয়া
  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে সাকিবের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে মিরাজের
  • নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান