মেসি কেন তাঁর সঙ্গে তিন মাস কথা বলেননি, জানালেন আর্জেন্টাইন সতীর্থ
Published: 9th, March 2025 GMT
সতীর্থদের সঙ্গে লিওনেল মেসির সম্পর্ক বরাবরই উষ্ণ। সতীর্থদেরও বিভিন্ন সময় মেসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায়। কিন্তু সেই মেসিই নাকি জাতীয় দল ও ক্লাবের এক সতীর্থের সঙ্গে কথা বলেননি তিন মাস। মেসির সেই সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদেস। চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচকে ঘিরে তৈরি হওয়া সমস্যার কারণে মূলত কথা বন্ধ ছিল দুজনের।
মেসি ও পারেদেস একসঙ্গে জাতীয় দল আর্জেন্টিনার পাশাপাশি পিএসজিতেও জুটি বেঁধে খেলেছেন। তবে কথা না বলার ঘটনাটি ঘটেছে মেসি যখন বার্সেলোনায় এবং পারেদেস যখন পিএসজিতে ছিলেন তখন।
২০২১ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ের প্রথম লেগে বার্সাকে ৪-১ গোলে হারায় পিএসজি। এরপর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ ড্র হয় ১-১ গোলে। সে ম্যাচে পারেদেসের করা একটি মন্তব্য এসেছিল মেসির কানে এবং সেই মন্তব্য শুনে সতীর্থকে ভুল বুঝেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সম্প্রতি মেসির সঙ্গে ঘটা সেই ঘটনার খোলাসা করেছেন পারেদেস নিজেই।
আরও পড়ুনমেসির অনুপস্থিতি কি আর্জেন্টিনার জন্য বিপদের আগাম সংকেত ০৭ মার্চ ২০২৫এখন এএস রোমায় খেলা এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আমরা সে সময় কথা না বলে তিন মাস কাটিয়েছিলাম। খুবই বাজে সময় ছিল সেটি। আমি পরের দিনই তাকে বার্তা দিই, ১৫ দিন পর আবার বার্তা দিই। আমি তাকে বলি, “এটা তোমাকে নিয়ে ছিল না। বিষয়টি মোটেই আঘাত করার জন্য ছিল না।” সে কোনো উত্তর দেয়নি। তিন মাস সে কোনো উত্তর দেয়নি।’
উত্তর না দিয়ে তিন মাস অপেক্ষায় রাখার পর কীভাবে মেসির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন পারেদেস, ‘এরপর কোপা আমেরিকার আগে জুন মাসে প্রস্তুতির জন্য আমরা একত্র হই। আমি যখন সেখানে পৌঁছে ভাবলাম, “এখন আমাকে দেখতে হবে, সে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়।” এরপর সকালে ব্রাশ করার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি আমার দিকে পানির বোতল ছুড়ে দিয়ে বললেন, “এত সকালে তুমি কী করছ।” এটুকুই। এর পর থেকে আমাদের এখনো খুবই ভালো সম্পর্ক।’
আরও পড়ুনমেসিকে পেনাল্টি নেওয়া শিখিয়েছিলেন নেইমার২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এই ঘটনার পর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মেসি-পারেদেস। পিএসজিতে একসঙ্গে খেলে একাধিক শিরোপা জিতেছেন দুজন। আর আর্জেন্টিনার হয়ে একসঙ্গে জিতেছেন ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
‘আমি থানার ওসি বলছি। আপনার মোবাইল ফোন হ্যাকড হয়েছে। আমাদের সাইবার টিম এটা নিয়ে কাজ করছে। হ্যাকারের পরিচয় শনাক্ত করতে আপনার হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিংক পাঠানো হয়েছে, সেখানে ক্লিক করুন।’ এমন ফোন পেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে কথামতো লিংকে ঢোকেন মুঠোফোনের মালিক। এরপর ফোনের মালিক জানতে পারেন, তাঁর নম্বর থেকে পরিচিত বন্ধু, সহকর্মী ও স্বজনদের কাছ থেকে তাঁর নাম করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। যখন বুঝতে পারেন তিনি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।
মুঠোফোনে এমন প্রতারণা শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। আজ বুধবার দুপুরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ আইডি হ্যাক করা হয়। হ্যাকড হওয়ার পর থেকেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিভিন্নজনের কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সহ-উপাচার্য নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।
আজ দুপুরে ফেসবুকে সহ–উপাচার্য লেখেন, ‘আসসালামু আইলাইকুম, কিছুক্ষণ পূর্বে আমার হোয়াটসঅ্যাপ ও বিকাশ নাম্বার প্রতারক হ্যাক করেছে। দয়া করে প্রতারিত হবেন না।’
জানতে চাইলে অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিচয়ে একজন তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দেন। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটা লিংক পাঠানো হয়। তিনি এই লিংকে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হ্যাকড হয়। এরপর এ নম্বর থেকে বিভিন্নজনের কাছে টাকা চাওয়া হয়। তখনই তিনি হ্যাকড হওয়ার বিষয়টি টের পান।
প্রতারণার শিকার হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন